আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। কিছুটা তেমনই কাণ্ড দেখা যাচ্ছে থাইল্যান্ডের একটি দ্বীপে। থাইল্যান্ডের প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপটির আকৃতি অনেকটা নারীস্তনের মতো। সেখানেই দেবী নোম সাও-এর মন্দির। সম্প্রতি পর্যটকদের বিচিত্র সব মানত এবং অদ্ভুত উৎসর্গের দৌলতে নেট-দুনিয়ায় রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই দ্বীপ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পর্যটকেরা প্রায় দশ মিনিটের নৌকা সফর করে ওই দ্বীপে পৌঁছচ্ছেন। তার পর মন্দিরে দেবীর উদ্দেশে অন্তর্বাস বা ব্রা অর্পণ করছেন। বিশ্বাস, এতেই ফিরবে প্রেমের ভাগ্য, আসবে সৌভাগ্য। কিংবদন্তি অনুযায়ী, দ্বীপটি আসলে এক স্থানীয় পৌরাণিক চরিত্রের কন্যা, ইয়োম-এর স্তনের প্রতিরূপ। স্থানীয় পর্যটন ক্লাবের সভাপতি সুমেত চারোয়েনসুক জানান, বেশ কিছু দিন আগে ওই দ্বীপের কাছাকছি একটি রহস্যময় আগুনের গোলা দেখা যায়। তার পরেই এক তান্ত্রিক দাবি করেন, দ্বীপে ‘দুগ্ধদেবী’-র আত্মা বিরাজ করছে।
ঘটনা জানাজানি হতেই সেখানে একটি মন্দির স্থাপন করে পুজো-প্রার্থনা শুরু হয়। আর যেই মন্দির তৈরি হয় অমনি শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। বিশেষত, প্রেমের সাফল্যের কামনায় ভিড় জমাতে শুরু করেন বহু মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মনস্কামনা পূরণ হলে ভক্তেরা মন্দিরে ফিরে এসে থাই পোশাক কিংবা অন্তর্বাস উৎসর্গ করে যান। মন্দিরের ভিতরে গেলে তাই চোখে পড়ে সারি সারি ঝুলন্ত ব্রা।
এই কাহিনি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তেই দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকেরা সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে প্রচার বড় বালাই। মন্দির বিখ্যাত হতেই উপচে পড়া ব্রা দিয়ে কী করা হবে তাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের কপালে। নতুন কিছু ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে। মন্দিরে জমা হওয়া ব্রা-গুলি দুঃস্থ বা আশ্রয়হীন মহিলাদের দান করে এই প্রথাকে আরও অর্থবহ করে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
