আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্টাইল আর ফ্যাশনে চোখ ধাঁধানো মঞ্চ। র‍্যাম্পওয়াকে ঝড় তুলে চলেছেন একের পর শোস্টপার। কারওর পোশাকে ফুটে উঠেছে সুন্দরবনের আনাচেকানাচে জীবন সংগ্রামের ইতিকথা, কেউ ফুটিয়ে তুলেছেন রাজস্থানের উট মেলা থেকে কোনারকের সূর্য মন্দির। কারওর পোশাকে আয়ুর্বেদের ছোঁয়া। আর এই সব অভিনব পোশাকই নিজের হাতে তৈরি করেছেন এনআইএফ গ্লোবালের ছাত্রছাত্রীরা। 

সম্প্রতি কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনআইএফ গ্লোবালের বার্ষিক অনুষ্ঠান। নাম ‘ইলিক্সার ২০২৫’। থিম ছিল 'গ্লোবট্রোটারস রানওয়ে: ফ্যাশন ছুঁয়েছে বিশ্ব'। অর্থাৎ এক ভ্রমণকারী যিনি ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহ্য, পোশাক এবং কৌশল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। আর এই থিমেই প্রতিষ্ঠানের স্নাতক ডিজাইনাররা তাঁদের নিঁখুত কাজের মাধ্যমে ভারতীয় ঐতিহ্য বিশদে তুলে ধরেছেন। 

শো-তে মোট ১৯টি পর্ব ছিল। র্যাম্প ওয়াকে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিটি পোশাকে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে রং, ফেব্রিক, সিলুয়েটের মাধ্যমে অনন্য গল্প বুনেছেন ডিজাইনাররা। শো-তে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার তথা সলমন খানের ব্যক্তিগত স্টাইলিস্ট অ্যাশলে রেবেলো, নুসরত জাহান, যশ দাশগুপ্ত সহ আরও গ্ল্যামার দুনিয়ার আরও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। 

ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম ঠিকানা এনআইএফ গ্লোবাল সল্টলেক। যেখানে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সৃজনশীলতার মেলবন্ধনে শিক্ষার্থীদের ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডিজাইনের ব্যবসায়িক দিকগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দেশ-বিদেশের ফ্যাশন শো থেকে ওয়ার্কশপ, ডিজাইন প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারেন পড়ুয়ারা। সঙ্গে থাকে প্লেসমেন্টের সুযোগও। আর পেশার জগতে এগোনোর এক প্রয়াসই ছিল 'ইলিক্সার ২০২৫'। যা শুধুই ফ্যাশন শো-ই নয়, ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপও বলা চলে।