আজকাল ওয়েবডেস্ক: মনে পড়ে মহাশ্বেতা দেবীর সেই জগৎ বিখ্যাত গল্প ‘স্তনদায়িনী’-র কথা? যেখানে ২০ সন্তানের জননী যশোদা দিনের পর দিন মাতৃস্নেহে স্তন্যপান করাতেন অপরের সন্তানদের? আজকের প্রজন্মের কাছে বিষয়টি খুব একটা স্বাভাবিক মনে না হলেও একসময় বহু নারী নিজের স্তন্য দিয়ে বাঁচিয়েছেন সদ্যজাত শিশুর প্রাণ। এবার তেমনই একটি বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
সম্প্রতি নেটমাধ্যম রেড্ডিটে এক মহিলা প্রশ্ন তুলেছেন বিষয়টি নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা জানিয়েছেন, বহু বছরের চেষ্টার পর মা হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর যাবতীয় আনন্দ এক মুহূর্তের জন্য মাটি হতে বসেছিল তাঁরই শাশুড়ির এক প্রস্তাবে। মহিলা জানিয়েছেন শাশুড়ি প্রস্তাব দেন, তাঁর সদ্যোজাত ছেলেকে তিনি নিজের স্তন্য পান করাতে চান। প্রস্তাব শুনেই চমকে ওঠেন মহিলা। তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দেন সেই প্রস্তাব। তাঁর যুক্তি স্তন্যদান কেবল শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য নয়, মানসিক বিকাশের জন্যেও জরুরি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে সন্তানের যোগসূত্র মজবুত হয়। তাই অন্য কাউকেই তিনি এই দায়িত্ব দিতে চান না।
প্রসঙ্গত, এখন স্তন্যদান করার জন্য সবসময় সন্তানধারণের প্রয়োজন হয় না। দীর্ঘ হরমোন থেরাপির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে স্তন্য উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রেও মহিলার শাশুড়ি তেমনটাই করতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দাবি করেছেন মহিলা। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বিধা বিভক্ত নেটিজেনরা। কারও কারও মনে হয়েছে নতুন মায়ের মনে এই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়া সঙ্গত। কারও আবার মনে হয়েছে, নাতির প্রতি স্নেহের মোহেই এমন করতে চেয়েছেন শাশুড়ি। কারও বক্তব্য, “বাড়ির খবর এইভাবে বাইরে না আনলেও পারতেন মহিলা।”
