আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমরা অনেক সময় নিজের শরীরে থাকা তিল নিয়ে ভাবতে বসি—এটা কি শুধু সৌন্দর্যের একটি চিহ্ন, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে ভাগ্য, চরিত্র ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত? প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র ও সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিলের আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষত ঠোঁটে থাকা তিলকে খুবই বিরল ও অর্থবহ ধরা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠোঁটে থাকা তিল কেবল সৌন্দর্যের চিহ্ন নয়, এটি মানুষের ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণ ও ভাগ্যেরও প্রতিফলন। নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে এর ব্যাখ্যা ভিন্ন হয়।
নারীর ঠোঁটে তিল
খ্যাতনামা জ্যোতিষী দেন সানডিকি জানিয়েছেন, যদি কোনো নারীর উপরের ঠোঁটে তিল থাকে, তবে তিনি সাধারণত কোমল হৃদয়ের, সুখী ও স্নেহশীলা হন। আবার নিচের ঠোঁটে তিল থাকলে সেই নারীকে বিলাসপ্রেমী ও আরামপ্রিয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া তাঁদের জীবনে ভোগবিলাসের প্রভাব বেশি থাকে। এমন নারীদের সাধারণত সমাজে জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা বেশি থাকে।
পুরুষের ঠোঁটে তিল
পুরুষদের ক্ষেত্রে, উপরের ঠোঁটে তিল থাকলে তাঁর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। আশেপাশের মানুষ সহজেই তাঁর প্রতি টান অনুভব করেন। অন্যদিকে, নিচের ঠোঁটে তিল থাকা পুরুষকে সাধারণত স্বচ্ছন্দময় ও আরামপ্রিয় জীবনযাপনের ইঙ্গিত বহনকারী বলে মনে করা হয়। তাঁদের মাঝে দায়িত্ববোধের পাশাপাশি সহজ-সরল মনোভাবও লক্ষ্য করা যায়।
অন্যান্য অবস্থান ও তাৎপর্য
শুধু ঠোঁট নয়, ঠোঁটের চারপাশের অবস্থানও বিশেষভাবে বিবেচিত হয়। ঠোঁটের নিচে তিল থাকলে আর্থিক অসুবিধা বা টানাপোড়েনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। আবার ঠোঁটের বাম পাশে তিল থাকলে মনে করা হয়, সেই ব্যক্তি বিশেষভাবে সহনশীল ও সন্তানের প্রতি গভীর মমতাশীল হন। ডান পাশে তিল থাকলে তা প্রায়শই সাফল্য, ধন-সম্পদ ও কর্মজীবনে উন্নতির ইঙ্গিত দেয়।
প্রাচীন সামুদ্রিক শাস্ত্র ও জ্যোতিষবিদ্যা এইসব ব্যাখ্যা দিলেও আধুনিক বিজ্ঞান তিলকে শুধু জেনেটিক ও শারীরবৃত্তীয় কারণেই ব্যাখ্যা করে। তবুও সমাজে এখনও ঠোঁটে তিল থাকা মানুষদের নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ও কৌতূহল কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, এটি শুধু সৌন্দর্যের নয়, বরং ভাগ্যেরও এক অনন্য চিহ্ন। তাই ঠোঁটে তিল থাকা মানুষকে সৌন্দর্য ও আকর্ষণের পাশাপাশি রহস্যময় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবেও দেখা হয়।
