আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর পাঁচজন ভিক্ষুকের মতোই তিনিও থালা পেতে চান টাকা। নিয়মিত ভিক্ষে করার রয়েছে স্থানও। তবে তিনি যে সকলের চেয়ে আলাদা। আর হবেন নাই বা কেন! ভিক্ষে করে মাস গেলে তাঁর রোজগার ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, রয়েছে সম্পত্তি সহ এলাহি জীবনযাপন। যা লজ্জায় ফেলে দেবে অন্য পেশার তাবড় মানুষজনকেও।
ভিখারির সঙ্গে ধনী কথাটা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন নিশ্চয়ই? আসলে তিনি যে শব্দের পরিভাষাই বদলে দিয়েছেন। তাই তো তিনি ভিখারি এবং ধনীও। বলা ভালো, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিখারি। আর অন্য দেশে নয়, সেই ধনী ভিখারি ভারতেরই বাসিন্দা। যার অর্থ, সম্পদের হিসাব শুনলে ভিরমি খাবেন আপনিও।
ভিক্ষাবৃত্তি করে ধনকুবের ভরত জৈন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ভিক্ষুক থাকেন ভারতের মুম্বই শহরে। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে গেলেই তাঁকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। কোনও কোনও দিন চলে আসেন আজাদ ময়দান চত্ত্বরে। এক বা দুই কোটি নয়, ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ রয়েছে ভরতের এই ভিক্ষুকের। আর সেই সম্পদের তালিকায় কী না নেই! কোটি টাকার উপরে দু' দুটো বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। আরব সাগরের তীরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায় দুটো দোকানও কিনেছেন এই ভিক্ষুক।
ভরতের জীবনের শুরুটা এতটা মসৃণ ছিল না। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি ভরত। ছোটবেলায় কোনও মতে জুটত খাবার আর মাথার উপরে ছাদ। অর্থের জন্য পড়াশোনা করতে পারেননি ভরত। তারপরেই পেশা হিসেবে বেছে নেন ভিক্ষাকে। প্রথম প্রথম লজ্জাই লাগতো। তবে হাল ছাড়েননি। যেদিন যা ভিক্ষে পেতেন তার অর্ধেক টাকা সঞ্চয় করতেন। এভাবেই ধীরে ধীরে জমাতে শুরু করেন টাকা। সঞ্চিত ভিক্ষার অর্থ দিয়েই কিনেছেন দুটো দোকান। ভাড়া বাবদ সেই দোকানগুলি থেকে হাতে আসে মাসে ৩০ হাজার।
মুম্বাইয়ের প্যারেল এলাকায় থাকেন এই ভিক্ষুর। টাকার জন্য নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি। তবে তাঁর দুই সন্তান পড়ে নামী কনভেন্ট স্কুলে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দোকানে কাজ করেন। তবু এত কিছুর পরেও ভিক্ষে পেশাকে ছাড়তে পারেননি কোটিপতি ভিখারি। ভিক্ষেও যে লাভজনক পেশা হতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছেন হাতেনাতে।
