আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটানা কমোডের উপর বসে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে যে এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মলত্যাগ করাই কাল হল চীনের এক যুবকের। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের চংকিং অঞ্চলে।

জানা গিয়েছে, রোগী ২৪ বছর বয়সি এক যুবক। ঘটনার আগে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কেবল মলত্যাগে কিছুটা সময় লাগত তাঁর। সেকারেই শৌচাগারে মোবাইল নিয়ে যান তিনি। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে সেখানে বসেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু উঠতে গিয়েই বিপত্তি। দেহের নিম্নাঙ্গ অসাড় হয়ে গিয়েছিল।‌ উঠতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। পরিবারের লোকজন যখন দেখেন, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি শৌচাগার থেকে বার হচ্ছেন না। তখন জোর করে দরজা ভাঙ্গা হয়। দেখা যায় যুবক মেঝেতে পড়ে আছেন অচেতন অবস্থায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসা শুরু হলে জানা যায় বিপর্যয়ের কারণ। চিকিৎসকেরা জানান, যুবক পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিমায় বসে থাকার কারণে তাঁর শরীরে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি, শৌচাগারের মতো বদ্ধ স্থানে বায়ু চলাচলের ঘাটতি থাকার জন্য মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়নি। ওই অবস্থায় হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ানোর ফলে মাথায় রক্ত সরবরাহ আরও কমে যায়, ফলে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। 

‌মোবাইলে মনোযোগ মানেই পেটে চাপ?

চিকিৎসকদের মতে, শৌচাগারে বসে দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহারে শুধু রক্তচাপ নয়, মলত্যাগের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। মলত্যাগের স্বাভাবিক চাপ কমে গেলে রেক্টামকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।