ষাট ছুঁইছুঁই মাধুরী দীক্ষিত আজও নজরকাড়া। যেমন টানটান ত্বক, তেমনই রেশমের মতো ঝলমলে চুল। বর্তমান প্রজন্মের অনেক নায়িকাকে এখনও সৌন্দর্যে হার মানাতে পারেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। তারকারা এমনিতেই তাঁদের ত্বক-চুলের জন্য কম পরিশ্রম করেন না। নামী-দামি প্রসাধনী থেকে ট্রিটমেন্ট, বাদ যায় না কোনও কিছুই। তবে এরই মধ্যে অনেকের সৌন্দর্যে কৃত্রিমতার ছোঁয়া থাকে না। সেই তালিকায় রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত। দামি স্কিনকেয়ার, স্যাঁলোর বিশেষ ট্রিটমেন্ট কিংবা কসমেটিক সার্জারি নয়, কোন গোপন কৌশলে ৫৮ বছর বয়সে নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন মাধুরী? নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
মাধুরী বলেন, “আমরা সৌন্দর্য বলতে অনেক সময় শুধু বাইরেটাকে বুঝি। কিন্তু আসল সৌন্দর্য ভেতর থেকে আসে। মন শান্ত থাকলে, স্ট্রেস কম থাকলে-তার প্রতিফলন মুখেও ধরা পড়ে। তাই আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।” তিনি মনে করেন, স্ট্রেস ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। অতিরিক্ত চাপ, দুশ্চিন্তা বা নেতিবাচকতা ত্বকে ক্লান্তিভাব এনে দেয়, যার ফলে স্বাভাবিক জেল্লা কমে যায়।
এই কারণেই ধ্যান বা মেডিটেশন মাধুরীর দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখেন। নিয়মিত তিনি ওমকার উচ্চারণ করেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন, মাঝে মাঝে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করেন। এই নিয়ম তাঁকে মানসিকভাবে স্থির রাখে। মাধুরীর মতে, “ধ্যান শুধু মন পরিষ্কার করে না, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যও বজায় রাখে। সেই ভারসাম্যই ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা আনে।”
তবে তিনি একেবারেই স্কিনকেয়ার করেন না, এমন নয়। মাধুরী জানিয়েছেন, তিনি খুবই সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করেন। পর্যাপ্ত জল পান, টাটকা ও সুষম খাবার খাওয়া, সময়মতো ঘুম এবং হালকা স্কিনরুটিন—এই কয়েকটি বিষয়ই তার দৈনন্দিন চর্চার অংশ। তিনি ত্বকে ভারী কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না, বরং স্বাভাবিক ও সহজ রুটিনকেই প্রাধান্য দেন।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ইতিবাচক পরিবেশে থাকা এবং অন্যদের প্রতি সম্মানবোধও সৌন্দর্য ধরে রাখার একটি বড় কারণ। তাঁর ভাষায়, “যে মানুষ ভেতরে ভরপুর সুখ, শান্তি আর ভালবাসা বহন করে, তার মুখে তা নিজের মতো করেই ফুটে ওঠে।”
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেইউ যেখানে সৌন্দর্য নিয়ে দামী ব্র্যান্ড, কসমেটিক টিপস বা প্রসাধনী ট্রিটমেন্টের প্রচার নজরে আসে, সেখানে মাধুরীর এই বার্তা অনেকের কাছেই এক নতুন উপলব্ধি। তাঁর কাছে দামী ক্রিম নয়, শান্ত মন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও ধ্যানের অভ্যাস–ই প্রকৃত সৌন্দর্যের আসল চাবিকাঠি।
