আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কালীপুজোর পরই আসে ভাইফোঁটা। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটা উৎসব। ভাইফোঁটা মূলত ভাই-বোনের উৎসব। ভাই-দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। ভাই-বোনদের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে এই উৎসবে শামিল হন বাঙালি।
দ্বিতীয়াতেই এই ফোঁটা দেওয়ার রীতি বেশি৷ অনেক বাড়িতে প্রতিপদেও ভাইফোঁটা পালন করা হয়। ভাই বা দাদাদের দীর্ঘায়ু কামনায় ফোঁটা দেন দিদি-বোনেরা। 'ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা..'-এই মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ফোঁটা দেওয়া হয়।
এবছর ভাইফোঁটার সময় কিন্তু খুব কম৷ মাত্র ২ ঘণ্টা ১১ মিনিট৷ ৩ নভেম্বর অর্থাৎ দ্বিতীয়ায় দুপুর ১:১০ মিনিট থেকে দুপুর ৩:২২ মিনিট পর্যন্ত ফোঁটা দেওয়া শুভ মুহূর্ত। এই শুভ সময়ের মধ্যে ভাইকে উত্তর দিকে বা উত্তর পূর্ব দিকে মুখ করে বসিয়ে ফোঁটা দিতে হবে। মেঝেতে বসিয়ে ফোঁটা দেওয়া উচিত নয়।
ভাইফোঁটার থালায় বিশেষ কিছু সামগ্রী রাখতে হয়। কাঁসা বা পিতলের থালায় ফোঁটার সামগ্রী রাখা হয়। যা হল, সামান্য দই, চন্দন, ও কাজল, প্রদীপ। এছাড়া থাকে পাঁচ রকম মিষ্টির থালা। বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে ভাই-দাদাকে ফোঁটা পরানো হয়। রীতি বলছে, চন্দন তিলক পরিয়ে দিলে ভাইয়ের পরমায়ু বৃদ্ধি হয়। হিন্দু ধর্মে যে কোনও কাজে দইকে শুভ মনে করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয়। আগে ভাইকে কুনজর থেকে রক্ষা করার জন্য পানের বোটায় করে কাজল পরানোরও রীতি ছিল। অনেকে আবার কাজলের ফোঁটা কপালেও দেন। ফোঁটা দেওয়া শেষ হলে ধান ও দুর্বা দিয়ে ভাইকে আশীর্বাদ করা হয়। এরপর ছোট ভাই বা বোনেরা আশীর্বাদ নেন।
