আজকাল ওয়েবডেস্ক: কঙ্গনা মানেই লাইমলাইট, কঙ্গনা মানেই বিতর্ক। এবার নিজের মাকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি সংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজের শৈশব ও ব্যক্তিগত জীবনের এমন এক অজানা ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কঙ্গনার দাবি, পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে বেড়ে ওঠার সময় নানা সামাজিক ও মানসিক চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে ঋতুস্রাব দেরিতে শুরু হওয়ার কারণে তাঁর মা যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, সেটি আজও স্পষ্ট মনে আছে তাঁর।

কঙ্গনার কথায়, “আমার সব বন্ধুর ক্লাস ৬ থেকে ৯-এর মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার তখনও সেসব শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তখন আমি পুতুলখেলায় মগ্ন। একদিন মা রেগে গিয়ে বললেন, ঋতুস্রাব শুরু হতে দেরি হচ্ছে, আর মেয়ে এখনও পুতুল নিয়ে খেলছে! তিনি ভেবেছিলেন পুতুল খেলার জন্যই হয়তো মাসিক দেরি হচ্ছে। তারপর মা আমার সব পুতুল ফেলে দেন।”

অভিনেত্রী জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যখন তাঁর প্রথম ঋতুস্রাব শুরু হয়, তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। “একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশে রক্ত লেগে আছে। আমি ভয় পেয়ে যাই, অথচ মা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন যে অবশেষে আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে,” বলেন কঙ্গনা।

আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী আরও জানান যে তাঁর বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান ছিলেন এক ছেলে, যিনি জন্মের দশ দিনের মাথায় মারা যান। পরিবার মনে করত, হাসপাতালের অবহেলার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর তাঁদের পরিবারে ‘হাসপাতালে যাওয়া কার্যত নিষিদ্ধ’ হয়ে যায়। কঙ্গনার ভাষায়, “দিদিমা ঘোষণা করেন, আমাদের পরিবারে কারও জন্ম আর হাসপাতালে হবে না। এরপর মা তিনবার এবং আমার মাসি দু’বার সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আমরা সবাই একই বাড়ির একই ঘরে জন্মেছি।”
প্রসঙ্গত, বিতর্কে থাকলেও অভিনয় বা রাজনীতি কোনও দিক থেকেই সময় ভাল যাচ্ছে না কঙ্গনার। অভিনয়ের ক্ষেত্রে কঙ্গনাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ইমার্জেন্সি ছবিতে, যেখানে তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স অফিসে আশানুরূপ সাফল্য পায়নি, কঙ্গনার অভিনয় নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। পাশাপাশি, রাজনীতির মাঠেও নিজের নাম ডুবিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। কিছুদিন আগেই তিনি দাবি করেন, রাজনীতি করার পর যা যা সুবিধা তিনি পাবেন ভেবেছিলেন, তার কিছুই আদতে পাননি তিনি। এমনকী জনগণের ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করা তাঁর কাজ নয় বলেও দাবি করেন তিনি। অভিনেত্রীর এরূপ মন্তব্যে বেকায়দায় পড়ে বিজেপিও।