হাতে স্মার্টফোন মানেই রিলসের নেশায় বুঁদ। কেউ রিলস বানানোয় ব্যস্ত, কেউ আবার দেখতে দেখতে কাটিয়ে ফেলছেন গোটা রাত। কখনও বাসে, ট্রেনে যেতে যেতে দেখছেন, কখনও আবার রাতে ঘুমানোর আগে। অবসর পেলেই ফোনে রিলস দেখতে ব্যস্ত অধিকাংশই। রিলস দেখার এই নেশাই কঠিন অসুখের দিকে ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে,  ধরাও পড়েছে গবেষণায়। কিন্তু চাইলেও অনেকে রিলসের আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। আপনিও কি এই সমস্যায় ভোগেন? সেক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস মানলে উপকার পাবেন। 

১. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন: দিনে কতক্ষণ আপনি রিল দেখবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। টাইমার ব্যবহার করুন যেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রিলস দেখা কঠিন করে তুলুন অর্থাৎ ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপ একটি ফোল্ডারে সরিয়ে দিন। একবার লগআউট করুন বা স্ক্রিন কালার বর্ণহীন করে দিন যাতে চোখের আকর্ষণ কমে। স্ক্রিনে সময় নজর রাখুন। প্রতি রাতে লিখে রাখুন আপনি আজ কতক্ষণ রিলস দেখেছেন এবং কখন খুলেছেন। এতে নিজের ব্যবহার সম্পর্কে যেমন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, তেমন নিজেকে নিয়ন্ত্রণও সহজ হয়। 

আরও পড়ুনঃ মাত্র ১৫ দিনে গায়েব হবে ইউরিক অ্যাসিডের তাণ্ডব! রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলেই দেখবেন কামাল

২. অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করুন: ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের মতো অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখলে রিলের নেশা অনেকটাই কেটে যাবে। মুড অনুযায়ী সাবস্ক্রাইব করুন। আপনার কোনও কাজে লাগবে না এমন বিষয়ের ভিডিও থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে উৎপাদনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্য বা অনুপ্রেরণা দেয় বিষয়বস্তু অনুসরণ করুন।

৩. অন্য কাজে মন দিন: রিল দেখার বদলে বই পড়া, গান শোনা, হাঁটাহাঁটি বা কোনও শখের কাজে সময় দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ঘুমানো বা শান্ত সুরে গান শুনে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।

৪. ডিজিটাল ডিটক্স করুন: সপ্তাহে অন্তত একদিন সমাজ মাধ্যম থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। এতে মন ভাল থাকে এবং আসক্তিও কমে। দিনে নির্দিষ্ট কিছু সময় যেমন ঘুম থেকে উঠে প্রথম ৩০ মিনিট, খাওয়ার সময় বা শোওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফোন থেকে বিরতি দিন। এই ছোট পরিবর্তনগুলো মানসিক শান্তি আনতে সহায়তা করে। প্রয়োজনে ফোনে অ্যাপ ব্লকার ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ঘামের দুর্গন্ধে টেকা দায়? জানেন আপনার গায়ের গন্ধই বলে দিতে পারে শরীরে বাসা বেঁধেছে কোন রোগ?

৫. নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ কেন রিলস দেখা কমাতে চাইছেন তা নিজেকে প্রশ্ন করুন। অর্থাৎ আপনার আসল উদ্দেশ্য কী — কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ানো, পরিবার বা বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানো, বা পড়াশোনায় উন্নতি-এ ধরনের গভীর প্রশ্ন নিজেকে প্রেরণা জোগায়।