শীতের সময় ফাটা গোড়ালি নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। দামি জিনিস মেখেও মেলে না সুরাহা। কিন্তু জানেন কি, ঘরে থাকা অতি সাধারণ জিনিস দিয়েই আরাম মিলতে পারে? উষ্ণ গরম জলে মাত্র এক টাকার শ্যাম্পু ফেলে কয়েক মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন, তারপর স্ক্রাব করে নিন। রাতে রান্নাঘরে থাকা অল্প ঘি ভাল করে মালিশ করলে পরদিন সকালে গোড়ালির ত্বক চোখে পড়ার মতো নরম হয়ে যায়।
পুরো প্রক্রিয়া খুবই সহজ। প্রথমে এমন হালকা গরম জল নিন, যাতে পা সহজেই রাখা যায়। অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার করবেন না। ওই জলে এক টাকার শ্যাম্পু এবং সামান্য নুন মেশান। পাঁচ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন।
নির্দিষ্ট সময় পর পা তুলে নিয়ে একটি ফুট স্ক্রাব দিয়ে ভাল করে ঘষে নিন, যাতে জমে থাকা মৃত কোষ সহজে উঠে আসে।
স্ক্রাব করার পর পা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন এবং পায়ের ত্বকে ভাল মানের কোনও ফুট ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
রাতে শোওয়ার আগে অল্প ঘি নিন এবং গোড়ালিতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ধীরে ধীরে মালিশ করুন। ঘি একটু আঠালো লাগলেও মুছে ফেলবেন না। চাইলে পাতলা কাপড় দিয়ে পা বেঁধে নিতে পারেন, যাতে বিছানার চাদরে দাগ না লাগে।
পরদিন সকালে দেখবেন, গোড়ালি আগের তুলনায় অনেক বেশি নরম ও মসৃণ হয়ে গিয়েছে। যদিও একদিনেই সব মৃত ত্বক সরে যাবে না, তবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে ফল স্পষ্ট বোঝা যায়।
বিশেষ করে শীতের সময় নিয়মিত করলে পায়ের গোড়ালি থেকে নখ পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন, উজ্জ্বল ও সতেজ থাকবে— তাও একদম ঘরোয়া উপায়ে, অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই।
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো নিয়মিত মেনে চললে শীতের রুক্ষতা আর ফাটা গোড়ালি আপনার জন্য বাড়তি ঝামেলা হয়ে দাঁড়াবে না। খুব অল্প খরচে এবং ঘরে বসেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন স্যালোঁর মতো যত্ন। ত্বক হবে আরও নরম এবং মসৃণ।
তবে অবশ্যই মনে রাখা দরকার, একদিনে বড় পরিবর্তন দেখা যায় না। তবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই মিলবে দৃশ্যমান ফল। বিশেষত শীতের সময়, যখন ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, তখন এই বাড়তি যত্ন আপনার পায়ের সৌন্দর্য ও আরাম দুটোই ফিরিয়ে আনবে। সামান্য সময় আর একটু মনোযোগেই আপনার পা পাবে নতুন প্রাণ।
