আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পুজোর আগে ডায়েট করে ওজন তো কমালেন, এবার ভয় ফের না বেড়ে যায়! পুজোর মাস দুয়েক আগে থেকেই সময় ওজন কমানোর জন্য জিমগুলিতে ভিড় বাড়ে। আর পুজো শুরু হলেই ছবিটা একেবারে বদলে যায়। আসলে দুর্গাপুজোর সঙ্গে পেটপুজোর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সারা বছর শুক্তো, ডাল-ভাত খেলেও পুজোর সময়ে মনের মতো সুস্বাদু খাবার না হলে ঠিক চলে না। তাই এই কয়েকটা তো পুজোমণ্ডপের মতোই রেস্তোঁরাতেও থাকে লম্বা লাইন। ঠাকুর দেখার ফাঁকে রোল-চাউমিন, মোমো, ফিশফ্রাই, বিরিয়ানির দোকানগুলির সুবাস নাকে এলে কি আর নিজেকে আটকে রাখা যায়! এদিকে জিম বন্ধ, সারা রাত প্যান্ডেল হপিংয়ের পর সকালে শরীরচর্চা করতেও ইচ্ছে করে না। তবে কি এত পরিশ্রম করে ওজন কমানো পুজোর ক’দিনে মাটি হয়ে যাবে? একেবারেই নয়। পুজোয় জমিয়ে ভালমন্দ খেয়েও বাড়বে না ওজন, শুধু মানতে হবে সহজ কয়েকটা নিয়ম। রইল তারই হদিশ। 

১. পুজোর সময় চার বেলাই বাইরে খাবার না করে দিনের কোনও এক বেলায় রেস্তোঁরায় খাওয়ার পরিকল্পনা করুন। বাকি সময়টা বাড়ির খাবার খেতে হবে।
২. পুজোয় বাড়িতে যতই ভালমন্দ রান্না হোক না কেন, বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে চলবে না।  বদলে ডায়েটে সব্জি, মাছ, মাংস, দই বেশি করে রাখুন। 
৩. রেস্তরাঁর খাবার খেতে হবে সচেতনভাবে। খাবার বাছাই না করলেও ক্যালরির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাতে রেস্তোরাঁয় স্যুপ, মোমো, গ্রিলড চিকেন বা ফিশ, কাবাব খেতে পারেন। সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারও বেশ ভাল। বিরিয়ানির সঙ্গে রায়তা এবং স্যালাড খেতে ভুললে চলবে না।
৪.পুজোর সময় রাস্তার ধারের খাবারের প্রতি আলাদাই টান থাকে। সেক্ষেত্রে যে সব স্ট্রিটফুডে ক্যালরি কম যেমন মোমো, পেপার দোসা, কবাব-তন্দুরি, সামান্য পরিমাণে ফুচকা খেতে পারেন। তবে কোল্ডড্রিঙ্কস জাতীয় পানীয় একেবারেই নয়। 
৫. পুজো মানেই মিষ্টিমুখ। তবে বাছাই করে মিষ্টি খেলে খুব একটা ওজন বাড়বে না। ভাজা মিষ্টিতে ময়দা, তেল, রস মিলিয়ে ক্যালোরি অনেক বেশি। বদলে অল্প রস চিপে রসগোল্লার মতো ছানার মিষ্টি খেতে পারেন।