বলিউড থেকে হলিউড, দুই দিকেই সমান সফল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বছর পেরলেও তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা যেন আরও তরতাজা হয়ে উঠছে। কীভাবে সম্ভব? সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁর জেল্লাদার ত্বকের আসল রহস্য-যার বেশিরভাগটাই প্রাকৃতিক, ঘরোয়া এবং সহজে অনুসরণযোগ্য।

প্রথমেই রয়েছে প্রিয়াঙ্কার অন্যতম বিউটি-হ্যাক: চালের জল এবং নারকেল তেলের মাস্ক। তিনি নিয়মিত এই মিশ্রণ মুখে লাগান। চালের জল ত্বক টানটান করে, রোমকূপ ছোট করে এবং স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অন্যদিকে, নারকেল তেল ত্বকে গভীর ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব দেয়। এসব মিলিয়ে ত্বক হয় কোমল, সতেজ ও উজ্জ্বল।

ত্বকের যত্নে শুধু বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকেও সমান গুরুত্ব দেন প্রিয়াঙ্কা। তার প্রতিদিনের রুটিনে রয়েছে একটি বিশেষ ডিটক্স পানীয়। জিরে, ধনে এবং মৌরি গুঁড়ো মেশানো জল। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, অ্যাসিডিটি কমায় এবং গাট হেলথ ভাল রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে তার প্রভাব সরাসরি পড়ে ত্বকে। ব্রণর প্রকোপ কমে এবং ত্বক দেখায় বেশি উজ্জ্বল।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি নিয়মিত খান কাঁচা আদার শট, সঙ্গে থাকে এক চামচ মধু। আদা দেহের প্রদাহ কমায়, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং স্কিনে প্রাকৃতিক জেল্লা আনে-এটাই প্রিয়াঙ্কার মতে তার 'ইমিউনিটি-গ্লো কম্বো'।

বাহ্যিক যত্নে প্রিয়াঙ্কার নিয়ম খুব সোজা কিন্তু অত্যন্ত নিয়মিত। রাতে কখনও মেকআপ নিয়ে ঘুমান না। ডাবল ক্লিনজিং, হালকা টোনার, সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার-এটাই তাঁর দিনের স্কিন রুটিন। তিনি রাতে ‘স্কিন রিপেয়ার’কে সবচেয়ে কার্যকর সময় মনে করেন।

এছাড়াও তিনি মাসে অন্তত দু’বার পেশাদার ফেসিয়াল করান। তবে ভারী কেমিক্যাল বা কঠিন ট্রিটমেন্টের পক্ষপাতী নন। বরং তিনি পছন্দ করেন হাইড্রেটিং ও স্কিন-ক্যালমিং ফেসিয়াল যা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি দেয়। প্রিয়াঙ্কার মতে, ভালো ত্বক মানে কেবল দামি প্রোডাক্ট নয়।, পর্যাপ্ত ঘুম, জলপান, স্ট্রেস কমানো এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে নিয়মিত যত্নের সমন্বয়ই আসল সিক্রেট। তার পুরো স্কিনকেয়ার দর্শন এক বাক্যে বলা যায়, 'সহজ, প্রাকতিক এবং ধারাবাহিক থাকুন।'