আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালির রোববার মানেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় খাবার খাওয়ার পরই শুরু হয় গোলমাল। ফুলে ওঠে পেট। এই ধরনের পেট ফাঁপার সমস্যা খুবই সাধারণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
১.  আদা: আদা হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্যাস কমাতে খুব কার্যকর। এক টুকরো আদা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন। গরম জলে কয়েক টুকরো আদা ফুটিয়ে, সামান্য মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
২.  জোয়ান (আজওয়াইন): জোয়ান গ্যাস, অম্বল এবং পেট ফাঁপার একটি চমৎকার প্রতিকার। আধ চামচ জোয়ান সামান্য লবণ দিয়ে চিবিয়ে জল দিয়ে গিলে ফেলুন অথবা গরম জলে জোয়ান ফুটিয়ে সেই জল পান করুন।

আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বীর্যপাতে মৃত্যু! শুক্রাণু দান করার নেশায় ডাক্তারি পড়ুয়ার করুণ পরিণতি জানলে চোখে জল আসবে

৩.  জিরা জল: জিরা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস নির্গত হতে সহায়তা করে। এক চামচ জিরা এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করুন। তারপর সেই জল পান করুন। অন্যথায় সারারাত এক গ্লাস জলে জিরা ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
৪.  মৌরি: মৌরি মুখশুদ্ধি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না এটি হজম শক্তিও বাড়ায় এবং পেট ফাঁপা কমায়। খাওয়ার পর এক চামচ মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা মৌরি ভেজানো জল বা মৌরি চা পান করতে পারেন।
৫.  পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা পেট ঠান্ডা রাখে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি তাজা পুদিনা পাতা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন।
৬.  হিং: হিং গ্যাস দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে। এক চিমটে হিং সামান্য গরম জলে গুলে সেটি নাভির চারপাশে লাগালে অথবা অল্প পরিমাণে (খুব সামান্য) গরম জলে গুলে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সরাসরি বেশি পরিমাণে হিং খাবেন না।
৭.  লেবু জল: খাওয়ার পর উষ্ণ গরম জলে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ভাল হয়, পেট ফাঁপার সমস্যা কমে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে।
৮.  দই: দই-এ থাকা প্রোবায়োটিকস হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। নিয়মিত টক দই খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা কম হতে পারে।
কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ: খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খান এবং ধীরে ধীরে খান। একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খান। যেসব খাবার খেলে গ্যাস বাড়ে (যেমন কিছু ধরনের ডাল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, সোডা বা কার্বোনেটেড পানীয়) সেগুলো এড়িয়ে চলুন বা কম খান। খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়বেন না, কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
যদি এই ঘরোয়া টোটকাগুলোতেও সমস্যা না কমে বা সমস্যা খুব বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।