আজকাল ওয়েবডেস্কঃ প্রত্যের মানুষের ঘুমের অভ্যাস আলাদা হয়। কেউ ঘর অন্ধকার করে শুতে পছন্দ করেন। কারওর হালকা নীল বা সবুজ রঙের মায়াবি আলো না জ্বালিয়ে রাখলে ঘুমই আসতে চায় না। কিন্তু জানেন ঘুমানোর সময় আলো জ্বালিয়ে রাখলে শরীরের উপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বহু জটিল রোগ। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুমের সময় আলোর সংস্পর্শে আসলে এমনকী ঘরে কম মাত্রায় আলো জ্বালিয়ে রাখলেও শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। গবেষকদের মতে, এর ফলে শরীরে গ্লুকোজ বিপাক ব্যাহত করতে পারে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

ইউরোপে দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথে প্রকাশিত একটি গবেষণায় নয় বছর ধরে প্রায় ৮৫ হাজার জনের উপর একটি পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে, রাত সাড়ে ১২টা থেকে ৬টার মধ্যে যারা আলো জ্বালিয়ে ঘুমোন তাঁদের অন্যদের তুলনায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৬৭% পর্যন্ত বেড়ে যায়। এমনকী সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ এবং পর্যাপ্ত ঘুমের পরও শরীরে এই প্রভাব পড়তে পারে।

একই মত শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদেরও। তাঁরা বলছেন, রাতে আলোর নীচে ঘুমালে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে, হার্টের অসুখ,  ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এমনকী এক রাতে ঘুমের সময় মাঝারি আলো জ্বালালে তা পরের দিন সকালে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। 

সবমিলিয়ে গবেষকরা ঘুমের সময় আলো না জ্বালানোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে ব্ল্যাকআউট পর্দা ব্যবহার, বৈদ্যুতিন যন্ত্র বন্ধ করা এবং প্রয়োজন না হলে রাতে আলো জ্বালানো এড়িয়ে চলা উচিত। যদি একান্তই ঘর অন্ধকার করে ঘুমাতে না পারেন তাহলে ম্লান, লাল রঙের আলো জ্বালাতে পারেন।