মহিলাদের কেন্দ্র করে সান বাংলায় শুরু হয়েছিল ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’। অল্প সময়েই এই শো জায়গা করে নিয়েছে বাংলার প্রতিটি ঘরে। জনপ্রিয়তার নিরিখে এখন সম্প্রচারিত হচ্ছে সিজন ২। নতুন রূপে, নতুন সাজে—আরও বৃহৎ পরিসরে ফিরে এসেছে ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’। আর এবার সিজন ২-এর মাসিক ফিনালে—নভেম্বর ফিনালে—সঙ্গে শো-এর বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন। এই বিশেষ পর্বে হাজির থাকবেন স্বয়ং ‘ইন্ডাস্ট্রি’, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাই ‘বুম্বাদা’ আসছেন শুনেই দারুণ উচ্ছ্বসিত লড়াকু মা লক্ষ্মীরা।

সিজন ২-এর এই মাসিক ফিনালে হবে হাসি–খেলা–মজা–উত্তেজনায় ভরপুর। ফিনালের বিজয়িনী জিতে নেবেন ২ লাখ টাকা পুরস্কার। পাশাপাশি থাকছে লক্ষ্মীদের জীবনসংগ্রামের হৃদয়স্পর্শী গল্প, যা মন দিয়ে শুনবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু গল্প নয়—থাকছে বুম্বাদার নাচও! ‘চোখ তুলে দেখো না’, ‘আমি আমি জানি জানি’—নিজের জনপ্রিয় গানগুলিতে নেচে মাতাবেন তিনি। লক্ষ্মীদের লড়াইয়ের গল্প শুনে তাঁদের মনোবল বাড়িয়েছেন বুম্বাদা। তিনি জানিয়েছেন, এই শো শুধুমাত্র বিনোদনের মঞ্চ নয়; সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতারও এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।

৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সান বাংলায় দেখা যাবে এই ধামাকা মাসিক ফিনালে। বাংলার যে কোনও মহিলাই অডিশনের মাধ্যমে এই খেলায় অংশ নিতে পারেন। বর্তমানে ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ পাঁচ রাউন্ডে খেলা হয়। প্রতিটি রাউন্ড শেষে থাকে নগদ পুরস্কার। চূড়ান্ত রাউন্ডে বিজয়িনী পান এক লক্ষ টাকার পুরস্কার। এখন থেকে প্রতি পর্বে তিনজন নয়, চারজন মহিলা প্রতিযোগী খেলেন—এবং কেউই খালি হাতে ফেরেন না। নতুন ফরম্যাটে যুক্ত হয়েছে নতুন খেলা—‘টাকার গদি’, পাশাপাশি আছে ‘টাকার খনি’, ‘বল ফেলতে টাকা কুলো’-র মতো মজাদার রাউন্ড। পুরো শো-টি সঞ্চালনার দায়িত্বে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।

‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ নিছক একটি নন-ফিকশন গেম শো নয়—মহিলাদের স্বপ্নপূরণের একটি মঞ্চ। তাঁদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ আরও মজবুত করতেই সান বাংলার এই উদ্যোগ। শো সঞ্চালনা করতে করতে জীবন সম্পর্কে তাঁর ধারণা বদলে গিয়েছে—এ কথাই বারবার জানিয়েছেন সুদীপ্তা। অসংখ্য মহিলার সংগ্রামের গল্প শুনতে শুনতে তিনি নিজের জীবন নিয়ে অভিযোগ করাও ছেড়ে দিয়েছেন।

মাঝেমধ্যে এই শোয়ে খেলতে আসেন এক ঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গল্প–আড্ডায় জমে ওঠে সেই বিশেষ পর্ব। তারকারা অবশ্য তাঁদের জেতা টাকা নিয়ে যান না—তা দিয়েই তৈরি হয়েছে ‘লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক’। এবার সেই ‘লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক’-এর টাকা থেকে ছয়জন লড়াকু ‘মা লক্ষ্মী’র হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে, যাতে তাঁরা নিজেদের স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগোতে পারেন। দর্শকদের বিপুল চাহিদার কারণে শো-এর সময়ও বাড়ানো হয়েছে—এখন প্রতিদিন দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান।