জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, দৈনন্দিন শপিং-এর সঙ্গেও নাকি যুক্ত রয়েছে গ্রহের শক্তি ও শুভ-অশুভ প্রভাব। কোন দিনে কোন জিনিস কিনলে সৌভাগ্য আসে আর কোন দিন কোন কেনাকাটা করা উচিত নয়, তা নিয়েই রয়েছে জ্যোতিষের পরামর্শ।
2
10
সপ্তাহের সাত দিন সাতটি গ্রহের অধীন, আর সেই গ্রহের শুভ-অশুভ শক্তি নাকি সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের কেনাকাটা, অর্থভাগ্য এবং পারিবারিক কল্যাণে।
3
10
সোমবার- জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমবার চন্দ্রগ্রহের দিন, মানসিক শান্তি ও পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। তাই এদিন দুধ, চাল, রুপোর সামগ্রী বা রান্নার পাত্র কেনা অত্যন্ত শুভ। তবে বৈদ্যুতিন বা দামি গ্যাজেট কেনা এদিন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
4
10
মঙ্গলবারঃ মঙ্গলগ্রহের শক্তি থাকার কারণে এদিন লাল রঙের পোশাক, ছুরি-কাঁটা কিংবা রান্নার সামগ্রী কেনা শুভ। কিন্তু লোহা বা চামড়াজাত পণ্য কেনা এদিন অশুভ ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা।
5
10
বুধবারঃ বুধগ্রহের দিন ব্যবসা, বুদ্ধি ও যোগাযোগ দক্ষতার প্রতীক। তাই বই, খাতা, কলম, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, শাকসবজি বা স্টেশনারি জিনিস কিনতে এদিনকে আদর্শ বলা হয়। তবে চাল, ওষুধ, বা ধাতব বাসনপত্র কেনা বুধের শুভ প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
6
10
বৃহস্পতিবারঃ বৃহস্পতি বা দেবগুরুর দিন শিক্ষাসামগ্রী, ধর্মীয় বই, সোনা-গয়না, মূল্যবান সম্পত্তি বা গাড়ি কেনা অত্যন্ত শুভ বিবেচিত। তবে চশমা বা ধারালো ধাতব জিনিস কেনা এদিন অনুকূল নয়।
7
10
শুক্রবারঃ শুক্রগ্রহের অধীন শুক্রবার সৌন্দর্য, বিলাসিতা ও পারিবারিক সুখ নির্দেশ করে। তাই সাজসজ্জার পণ্য, কসমেটিকস, নতুন পোশাক ও অলঙ্কার কিনতে এই দিনকে সেরা বলে ধরা হয়। তবে পূজার সামগ্রী কেনা এদিন এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
8
10
শনিবারঃ শনি-গ্রহের দিনে ন্যায়, কর্ম, সহনশীলতা এবং কঠোরতার প্রতীক। তাই আসবাব, পর্দা, ভারী যন্ত্রপাতি বা জমি সম্পর্কিত জিনিস কেনা শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। কিন্তু নুন, তেল বা লোহার তৈরি ধারালো জিনিস কেনা এদিন অশুভ ফল আনতে পারে।
9
10
রবিবারঃ সূর্যদেবের দিনে নেতৃত্ব, শক্তি ও খ্যাতির প্রতীক। এদিন গম, গয়না, লাল রঙের পোশাক বা চশমা কেনা শুভ। কিন্তু লোহা বা ভারী ধাতব আসবাব কেনা এদিন অনুচিত বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
10
10
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, এই নিয়মগুলো মানলে ঘরে আসে ইতিবাচক শক্তি, অর্থলাভ এবং শান্তি। যদিও এটি বিশ্বাসভিত্তিক নির্দেশিকা, তাই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ব্যক্তিগত পরিস্থিতি ও প্রয়োজনকেও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।