আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতকালের বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম মটরশুঁটি। প্রোটিনে ভরপুর এই সবজি আমিষ- নিরামিষ দুই ধরনের খাবারেই ব্যবহার করা হয়। আবার সেদ্ধ করেও খান অনেকে। মটরশুঁটিতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ই, ডি, সি, কে এবং কোলিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিনের মতো যৌগ। সঙ্গে বেশি পরিমাণেও থাকে কার্বোহাইড্রেটও। তবে বেশি মটরশুঁটি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বিশেষ করে শরীরে পাঁচ ধরনের সমস্যা থাকলে মটরশুঁটি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-
মটরশুঁটিতে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ভিটামিন কে। যা হাড়ের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভিটামিন কে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় থাকলে তা রক্তকে পাতলা করে দেয়। একইসঙ্গে প্লেটলেটও কমায়। এছাড়াও, ক্ষত নিরাময় এবং প্রাথমিক টিস্যু মেরামতকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
পাকস্থলী সংবেদনশীল হলে, পেটে আলসার, গ্যাস বা ফোলাভাব থাকলে মটরশুঁটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। আসলে সবুজ মটরশুঁটিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। বেশি খেলে সহজে হজম হয় না। এতে গ্যাস, পেট ফোলা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে। মটরশুঁটি বেশি খেলে 'ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম' অর্থাৎ আইবিএস এবং ডায়েরিয়াও হতে পারে। কারণ এই সবজিতে বেশি প্রোটিন রয়েছে।
মটরশুঁটিতে ফাইটিক অ্যাসিড এবং লেকটিনের মতো পুষ্টি থাকে। যা অন্যান্য অনেক পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। এটি মটরশুঁটির সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যার কারণে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ঘটিয়ে অপুষ্টির কারণ হতে পারে মটরশুঁটি
কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় মটরশুঁটি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। মটরশুঁটিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় কিডনির কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ে। মটরশুঁটি অতিরিক্ত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। এই কারণেই কিডনি রোগীদের সীমিত পরিমাণে মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
রক্ত জমাট বাঁধা, থ্রম্বোফ্লেবিটিসে মটরশুঁটি বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলেও মটরশুঁটির কারণে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
