আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষের মন এমন একটি জিনিস যার তল খুঁজে পাওয়া কঠিন। দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্যেই এমন অনেক উপাদান থাকে যা মানুষের অবচেতনকে প্রভাবিত করে। প্রতিনিয়ত আমরা এমন অনেক ছোটখাটো আপাত তুচ্ছ কাজ করি যা মনকে আমাদের অজান্তেই চঞ্চল এবং অস্থির করে তুলতে পারে। এই চঞ্চলতা এবং অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে উদ্বেগ এবং মানসিক সমস্যার মতো গুরুতর অসুখ। তাই সময় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি। কোন কোন দৈনন্দিন কাজে নষ্ট হতে পারে মানসিক শান্তি?

১. ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখা: সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই নোটিফিকেশন, ইমেল এবং সামাজিক মাধ্যম চেক করা মনকে শান্ত হতে দেয় না। এতে দিনের শুরুতেই একটা চাপ ও অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। একই ভাবে শুতে যাওয়ার আগেও অনেকে সামাজিক মাধ্যম, যেমন - ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে রিল দেখতে থাকেন। এতে অজান্তেই চাপ পড়ে স্নায়ুর উপর।

২. তাড়াহুড়ো করে কাজ করা: দিনের বিভিন্ন কাজ তাড়াহুড়ো করে শেষ করার চেষ্টা করলে কোনও কাজেই মনোযোগ দেওয়া যায় না। এর ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং মনে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করে। মনে রাখবেন সবার কাজের গতি সমান না। হতেই পারে অফিসে কোনও সহকর্মী আপনার থেকে অনেক দ্রুত কাজ করেন, তার মানে এই না যে সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবিত হতে হবে। বরং কীভাবে নিজের দক্ষতা বাড়ানো যায় সেদিকে মনোযোগ দিন।

৩. বার বার খবরের দিকে নজর রাখা: খবর আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকতে সাহায্য করে, একথা যেমন ঠিক। তেমনই সারাদিন বারবার খবর দেখা, বিশেষ করে নেতিবাচক বা চাঞ্চল্যকর খবর দেখতে থাকলে মনে উদ্বেগ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।


৪. কারও সঙ্গে তর্ক বা ঝগড়া করা: কারও সঙ্গে তর্ক বা মনোমালিন্য হলেও সারাদিন মন খারাপ থাকতে পারে এবং মনে অশান্তি অনুভূত হতে পারে। তাই ঝগড়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে গণপরিবহনে কিংবা রাস্তায় অচেনা মানুষের সঙ্গে ঝগড়া তো নৈব নৈব চ।

৫. গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখা: দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ফেলে রাখলে বা সময়মতো না করলে সেই কাজের চাপ মনের মধ্যে ঘুরতে থাকে এবং একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। ফলে অন্য কাজেও মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।