আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে কোনও সম্পর্কেই সঙ্গীর মানসিক পরিপক্বতা বা 'ইমোশনাল ম্যাচিউরিটি' একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অভাব থাকলে সম্পর্কে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই সম্পর্কের শুরুতেই একে অপরকে বুঝে নেওয়া দরকার। কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে আপনার সঙ্গী হয়তো এখনও মানসিকভাবে পুরোপুরি পরিপক্ব নন।

১। আবেগ নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা
   * ছোটখাটো বিষয়ে অতিরিক্ত বা অপ্রত্যাশিতভাবে রেগে যাওয়া, হতাশ হওয়া বা কান্নায় ভেঙে পড়া।
   * মেজাজ খুব দ্রুত ওঠানামা করা।
   * নিজের আবেগ বুঝতে বা প্রকাশ করতে সমস্যা হওয়া, অথবা আবেগকে চেপে রাখার চেষ্টা করা এবং পরে তা তীব্রভাবে প্রকাশ পাওয়া।
   * বিরক্তি বা মতানৈক্য হলে চুপ করে থাকা বা প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ আচরণ করা।
২। দায়িত্ব নিতে অনীহা
   * নিজের ভুল স্বীকার না করে ক্রমাগত অন্যের উপর দোষ চাপানো বা পরিস্থিতির দোহাই দেওয়া।
   * "সরি" বা "আমার ভুল হয়েছে" বলতে দ্বিধা করা বা না বলা।
   * গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাওয়া বা এড়িয়ে যাওয়া।
   * নিজের কাজের পরিণতির দায় না নেওয়া।
৩। আত্মকেন্দ্রিকতা ও সহানুভূতির অভাব
   * বেশিরভাগ সময় নিজের চাহিদা এবং অনুভূতির উপর বেশি মনোযোগ দেওয়া।
   * সঙ্গীর অনুভূতি, কষ্ট বা দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে না পারা বা বোঝার চেষ্টা না করা।
   * আলোচনা বা তর্কের সময় আপনার দিকটা না দেখে শুধু নিজের জয় বা মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
৪। কথোপকথনে অসুবিধা
   * নিজের প্রয়োজন বা অনুভূতি স্পষ্টভাবে বলতে না পারা।
   * সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা না করে এড়িয়ে যাওয়া।
   * তর্কের সময় চিৎকার করা, অপমানজনক কথা বলা বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করা।
   * সঙ্গী তার মনের কথা নিজে থেকেই বুঝে নিক - এমন প্রত্যাশা রাখা।
৫। অসংলগ্ন আচরণ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা
   * প্রায়শই কথা দিয়ে কথা না রাখা বা পরিকল্পনা বাতিল করা।
   * আচরণে স্থিরতার অভাব, আজ একরকম তো কাল অন্যরকম।
   * সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব দেখানো।