আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাঙালির নানা জিভে জল আনা পদের রান্নাতে পড়ে কিশমিশ। পায়েস থেকে পোলাও, সামান্য কিশমিশ ছড়িয়ে দিলেই বেড়ে যায় স্বাদ। কিন্তু শুধু কিশমিশ নয়, জানেন কি কিশমিশ ভেজানো জল খেলেও পাওয়া যায় প্রচুর উপকার। আর তার সঙ্গে মৌরি ভিজিয়ে দিলেই কয়েক গুণ বেশি উপকার পাবেন। বাঙালির হেঁশেলে মৌরিও জনপ্রিয় একটি মশলা। রান্নায় ফোড়ন হিসাবে পরিচিত মৌরির গুণে শরীরের অনেক সমস্যার অবসান হয়। বিশেষ করে খালি পেটে মৌরি ভেজানো জল খাওয়া উপকারী। 

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মৌরি ও কিশমিশ ভেজানো জলে লুকিয়ে বহু রোগের সমাধান। এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ রোগকেও প্রতিরোধ করতে পারে এই পানীয়। আসলে সারা রাত ভেজার পর ওই জলের মধ্যে কিশমিশ ও মৌরির যাবতীয় উপাদান দ্রবীভূত হয়ে যায়। নিয়মিত পানীয়টি খেলে বিশেষ করে গরমকালে বিবিধ রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। 

* গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ভেজানো কিশমিশ ও মৌরি খাওয়া উপকারী। কিশমিশ গরম প্রকৃতির এবং ভেজানোর পর খেলে তা ঠান্ডা হয়। মৌরিও শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই এই পানীয় খেলে শরীরের তাপ বাড়ে না, শরীরে জলশূন্যতা হয় না। 

* সকালে খালি পেটে কিশমিশ-মৌরি ভেজানো জল খেলে সারাদিন এনার্জি থাকে। কিশমিশে উচ্চ মাত্রায় প্রাকৃতিক সুগার উপাদান থাকায় দিনের শুরুতে এটি খেলে সারাদিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায়।


* কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ফাইবার প্রয়োজন। কিশমিশ ও মৌরি দুটি উপাদানের মধ্যে থাকা ফাইবার জলে ভিজলে সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। 

* মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান, যা পেটের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। এমনকী পেটে কোনও সংক্রমণ দেখা দিলেও তা থেকে বাঁচাতে পারে মৌরি। কিশমিশও পেটের সমস্যা দূর হয়, লিভার থেকে টক্সিন দূর করে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। 


* কিশমিশ-মৌরি ভেজানো জলের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে সাহায্য করে।


* পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা তৈরি না হলে, রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। মহিলারা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগেন। কিশমিশ-মৌরি ভেজানো জল এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।  


* কিশমিশ-মৌরি ভেজানো জল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টকে ভাল রাখে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে কিশমিশ।