আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালির উৎসব-পার্বণ মানেই কলাপাতায় পাত পেড়ে ভোজ। বিয়ে বাড়ি হোক বা দাদা-বৌদির বিরিয়ানি, আধুনিকতার দাপটে থালা-বাটির চল বাড়লেও কলাপাতার নস্টালজিয়া কিন্তু এখনও কমেনি। তবে শুধু স্মৃতিমেদুরতা নয়, এই পুরনো ঐতিহ্যের পিছনে লুকিয়ে থাকা বিজ্ঞানসম্মত কারণগুলি জানলেও চমকে উঠতে হয়। নিছক সংস্কার বা ঐতিহ্য নয়, কলাপাতায় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের জন্যই অত্যন্ত উপকারী।
১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভান্ডার: কলাপাতা পলিফেনল নামক প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা ক্যানসারের মতো মারণরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। গরম খাবার কলাপাতার উপর পড়লে, পাতার পুষ্টিগুণ খাবারের সঙ্গে মিশে সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
২. খাবারের স্বাদ বাড়ায়: কলাপাতার উপর এক ধরনের বিশেষ স্নেহ পদার্থের আস্তরণ থাকে। গরম ভাতের সংস্পর্শে এলে সেই আস্তরণ গলে গিয়ে খাবারে এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি সুবাস যোগ করে, যা খাবারের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
৩. স্বাস্থ্যকর ও জীবাণুমুক্ত: প্লাস্টিক প্লেট ব্যবহার করলে আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক পেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কলাপাতায় সেই ভয় নেই।
৪. পরিবেশবান্ধব বিকল্প: একবার ব্যবহারের পর প্লাস্টিক বা থার্মোকলের কাপ-প্লেট যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। যা পরিবেশের বিপুল ক্ষতি করে। অন্যদিকে কলাপাতা খুব সহজেই মাটিতে মিশে যায়। তাই এই অভ্যাস পরিবেশ রক্ষাতেও সাহায্য করে।
৫. রাসায়নিকমুক্ত আহার: কেমিক্যালযুক্ত বাসনপত্রে খাবার খাওয়ার বিপদ এড়াতে কলাপাতার জুড়ি মেলা ভার। এতে খাবার খেলে শরীরে কোনও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের আশঙ্কা থাকে না।
