দুর্গাপূজা থেকে শুরু করে দীপাবলি, বড়দিন বা নতুন বছর, উৎসব মানেই খাওয়া-দাওয়া আর রাত জাগা। মিষ্টি, ভাজাভুজি, ঝালমশলাদার খাবারের প্রলোভন এড়ানো বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি, নুন আর মানসিক চাপ এই আনন্দের সময়ে হৃদরোগের বড় ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, আনন্দময় উৎসবের ক্ষণিকের উচ্ছ্বাস যেন স্থায়ী রোগের কারণ না হয়। তাই চিনি, নুন ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলেই হৃদয় থাকবে সুস্থ আর উৎসবের আনন্দ হবে পরিপূর্ণ।
চিনি: উৎসবের মিষ্টি প্রলোভনঃ উৎসবের সঙ্গে মিষ্টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়ি। এই সময়ে রসগোল্লা, লাড্ডু, সন্দেশ হোক কিংবা কেক পেস্ট্রি সহ নানা সুস্বাদু মিষ্টি ঘরে বাইরে সর্বত্রই বেশি খাওয়া হয। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খেলেই যে রক্তে শর্করার মাত্রা, ওজন বাড়তে পারে। এর সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্কও গভীর। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রতিদিনের চিনি খাওয়ার মাত্রা সীমিত রাখুন, প্রক্রিয়াজাত মিষ্টির বদলে ফল বা খেজুরের মতো প্রাকৃতিক বিকল্প বেছে নিন, মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখলে ক্ষতি কম হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলার জলাশয়ে অবহেলায় পড়ে থাকা এই গাছ ‘ওষুধের ভাণ্ডার’! নিয়ম করে খেলেই ছুমন্তর হবে সব জটিল অসুখ
লবণ: অদৃশ্য আতঙ্কঃ চাটনি, আচার বা ভাজা খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় নুন ব্যবহার উৎসবের টেবিলে অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদরোগের আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মনে, রান্নার সময় নুন পরিমাণ কমানো প্রয়োজন, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস এড়িয়ে চলুন, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফল যেমন কলা বা কমলালেবু খেলে শরীরে সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা সামলে যায়।
মানসিক চাপ: অদৃশ্য শত্রুঃ উৎসবের ব্যস্ততা, কেনাকাটার চাপ, অতিথি আপ্যায়ন আর রাতভর আয়োজন-সব মিলিয়ে শরীরের পাশাপাশি মনও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তাই রোজ অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমান, অল্প সময় হলেও হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন অর্থাৎ মেডিটেশন বা যোগা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
কীভাবে উৎসব কাটাবেন সুস্থভাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসব উপভোগ করা জরুরি, তবে “সংযমই আসল চাবিকাঠি।” মিষ্টি বা ভাজাভুজি পুরোপুরি বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে পরিমাণ কম রাখতে হবে> পর্যাপ্ত pn পান করুন, খাদ্যতালিকায় শাকসবজি ও ফল রাখুন, উৎসব শেষে শরীরকে ফের ভারসাম্যে আনতে হালকা খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করুন
