আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চার অভাব ইত্যাদি নানান কারণে ইদানীং অল্প বয়স থেকে শরীরে জাঁকিয়ে বসছে বিভিন্ন সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া। স্থূলতা যেমন একটি শারীরিক সমস্যা, আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও হতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই গ্রিন টি-র উপর ভরসা রাখেন। আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা সারাদিনে বেশ কয়েক কাপ গ্রিন টি-তে চুমুক দেন। কিন্তু গ্রিন টি খেলে কি সত্যিই ওজন কমে? ঘন ঘন গ্রিন টি-এর কাপে চুমুক দেওয়ার আগে জেনে নিন গবেষণা কী বলছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, নিয়মিত গ্রিন টি খেলে হজম শক্তি বা মেটাবলিজম বাড়ে। আর এই কারণেই নাকি মেদ কমে। কিন্তু এই তথ্যের পুরোপুরি সত্যতা মেলেনি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি- সঙ্গে মেদ কমার সঙ্গেও সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে গ্রিন টি খেলে কী লাভ হয়?

আসলে গ্রিন টি এমন এক পানীয়, যাতে ক্যাফেইন ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান। তাই রোজ নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রিন টি খেলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। তবে গ্রিন টি কখনোই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও শরীরচর্চার বিকল্প নয়। বরং এই দুইয়ের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি।

গ্রিন টি যত বেশি পান করা যায়, তত ভাল-এমন ধারণাও কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। পরিমিত মাত্রায় গ্রিন টি খাওয়া স্বাস্থ্যকর। গ্রিন টিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড স্মৃতিশক্তি ভাল রাখে। গ্রিন টি-তে এল-থেনাইন নামে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও গ্রিন টি উপকারী। কিন্তু তাই বলে ঘন ঘন গ্রিন টি পানও করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।

সাধারণভাবে রোজকার চা-কফির পরিমাণ দুই কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শই দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রিন টি-তে ক্যাফেইনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকায় রোজ সর্বাধিক চার কাপ গ্রিন টি খেতে বাধা নেই। তবে বেশি উপকার পেতে আবার চার কাপের বেশি খাবেন না। এতে উল্টে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্যাফেইনে সংবেদনশীলতা থাকে। তাঁদের জন্য চার কাপ গ্রিন টি-ও অতিরিক্ত হতে পারে। একইসঙ্গে হার্টের অসুখ, থাইরয়েড ইত্যাদি সমস্যা থা