আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পুষ্টিবিদরা বলেন, শিশুদের রোজ একটা করে ডিম খাওয়ানো উচিত। কিন্তু বয়স খানিকটা বাড়লে আজকাল ডিম খেতে অনেকেই ভয় পান। বিশেষ করে মাঝবয়স পেরিয়ে গেলে রোজ ডিম খাওয়া কি উচিত? এই নিয়ে দ্বিধার শেষ নেই। কিন্তু আমিশাষী মানুষের ডিম যে বড্ড প্রিয়। এমনকী আজকাল নিরামিশাষী হলেও ডায়েটে ডিমকে বাদ দেন না অনেকে। আর ডিমের যে অংশটা খাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে সেই কুমুমপ্রেমীও কম নেই। কিন্তু কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানিতে প্রিয় কুসুমকে বাদ দিয়ে সাদা অংশেই মন ভরাতে হয় অনেককে। আর শুধু তো কোলেস্টেরল নয়, সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস সহ হাজার সমস্যায় ডিমের কুসুম খেতে রয়েছে বাধা। কিন্তু সত্যি কি কুসুম খেলে ওজন বাড়ে? আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে। 

রক্তে গুড কোলেস্টেরল (এইচডিএল) ও ব্যাড কোলেস্টেরল (এলডিএল ) দু’প্রকার কোলেস্টেরলই রয়েছে। আর এই ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার আমজনতার পাত থেকে বিদায় নিচ্ছে কুসুম। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রোটিন, ভিটামিন, নানা রকম খনিজ এবং ভাল মানের ফ্যাটের উৎস হল ডিম। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম— এই দুটি খাবারেরই ভাল এবং মন্দ দিক রয়েছে। তবে, কেউ ডিমের সাদা অংশটি খাবেন না কুসুম, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতির উপর। 

যে যে খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তার মধ্যে সর্বাধিক কোলেস্টেরল রয়েছে ডিমে। একটা ডিমে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ১৮৬ মিলিগ্রাম। যেখানে সারাদিনে একজন সুস্থ মানুষের মোট কোলেস্টেরল গ্রহণ করার স্বাভাবিক মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম, সেখানে একটা ডিম খেলেই এতটা কোলেস্টেরল শরীরে পৌঁছে যায়। তাই যাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের ডিম খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। যেমন, ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়া ভাল, কারণ কুসুমেই কোলেস্টেরল থাকে আর সিদ্ধ ডিম (ডিমের সাদা অংশ) খেলেই বেশি উপকার। 

যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক তারা সপ্তাহে ২-৩ দিন ডিম খেতেই পারে। যেহেতু ডিমের সাদা অংশটির ক্যালোরি কম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ে সচেতন তাঁদের জন্য এই ডিমের সাদা অংশটি খাওয়া ভাল। প্রোটিনের সঙ্গে সাদা অংশটিতে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।