আজকাল ওয়েবডেস্ক: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। তবে কম ঘুমোনোর মতোই বেশি ঘুমোনোও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বেশ কয়েক রাতে ঘুম কম হতে থাকলে ক্লান্তিভাব, মনোযোগের অভাব, বিষণ্নতা, উদ্বেগও বাড়তে পারে। আর যদি এই ঘুম কম হওয়াটা চলতেই থাকে, তাহলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, নিয়মিত অতিরিক্ত ঘুমালেও এই স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো বেড়ে যেতে পারে। বয়সের সঙ্গে ঘুমের চাহিদাও ভিন্ন হয়। তাই কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন তা জানা জরুরি।
সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সি শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও হবে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারও কারও ৭ ঘণ্টা কিংবা ১১ ঘণ্টা ঘুমালেও চলতে পারে। কিন্তু বয়:সন্ধিতে এর চেয়ে কম-বেশি ঘুমোলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন, তবে কারও কারও নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সিদের জন্য ঘুমোনো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। যদিও অনেকেই দিনের বেলায় ভাতঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত ৬ ঘণ্টাতেও দিব্যি ভাল থাকতে পারেন।
আজকাল কৈশোর থেকে পড়াশোনা, কাজের চাপে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি রাত করে হলেও অর্থাৎ 'স্লিপ সাইকেল' যাই হোক না কেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোনো খুবই জরুরি। সঙ্গে সারা সপ্তাহ ঠিকঠাক না ঘুমিয়ে ছুটির দিনে ঘুম পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তাও ঠিক নয়।
