আজকাল ওয়েবডেস্কঃ গ্রাম হোক বা শহরের আনাচেকানাচে রাস্তার ধারে একপ্রকার অবহেলিত হয়ে বেড়ে ওঠে ধুতুরা গাছ। এই গাছের ফল-ফুলের আবার নীলকন্ঠ মহাদেবের পুজোপাঠের ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিষাক্ত হলেও ধুতুরা ফুল, পাতা ও বীজ খুব পছন্দের শিবের। একমুঠো বেলপাতা আর ধুতরো ফুল ও ফল শিবের পুজোতে প্রধান পুজোর সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঝোপঝাড়ে অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকলেও এর গুনাগুণ প্রচুর।ধুতরো গাছের ফুল, ফল ও পাতা দারুণ ওষুধের কাজ করে। যদিও ধুতুরা ফল হল বন্য ফল। এই ফল এমনকী এই গাছের ঔষধি গুণ প্রচুর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, ধুতুরা ফল এবং এই গাছের পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ফল সেবন করলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

গ্রামাঞ্চলে গাঁটের ব্যথার জন্য ধুতরো ব্যবহারের চল রয়েছে। এছাড়া পা ফোলা কিংবা ভারি হয়ে যাওয়ার চিকিৎসাও  ধুতরোর মাধ্যমে করা হয়। এর জন্য ধুতরো পাতা ভাল করে বেটে নিয়ে তার পেস্ট বানাতে হবে। আর সেই মিশ্রণ পায়ে লাগালে ব্যথার উপশম হয়। ধুতরো পাতা বাটার প্রভাব অত্যন্ত গরম। এর ফলে পেশি স্বাভাবিক ভাবে সঙ্কুচিত হয়। এমনকী পেশি নমনীয় হয়। ফলে রোগী অনেকটাই স্বস্তি পান। আবার ২টি ধুতরো ফল বেটে নিন। ১০০ গ্ৰাম সরষের তেলে সেই ফল বাটার মিশ্রণ দিয়ে দিন। ১০ মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ছেঁকে নিন। দিনে ২-৩ বার ওই তেল হাঁটু বা ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন। সাতদিনে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। পুরুষদের জন্য বিশেষ উপকারি ধুতুরা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জানান, ধুতরো খেলে পুরুষালি শক্তি বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে আয়ুর্বেদের গবেষণা পদ্ধতির মাধ্যমে মুখের রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। সীমিত পরিমাণে ধুতরোর ব্যবহার ঔষধি বলে প্রমাণিত হয়। এটি শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখে।