আজকাল ওয়েব ডেস্ক:‌ শুধু দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় নয়, সব ভারতীয় রান্নাতেই কারিপাতা ফোড়ন দেওয়ার চল আছে।তরকারি, ডাল, ভাজা, নোনতা সুজি, চিঁড়ের পোলাও ইত্যাদি নানা খাবারে কারি পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে।এর মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করলে কারিপাতাকে মশলা হিসেবেই মান্যতা দেওয়া হয়। বিদেশেও এই পাতা ব্যবহারের চল আছে।রান্না সংক্রান্ত ছাড়াও রূপচর্চায় কারিপাতার অশেষ অবদান।

পেট থেকে শুরু করে চুল, ত্বক, ডায়াবিটিসের সমস্যা দূর করতে এবং মেদ ঝরাতেও কাজে লাগে এই পাতা।এছাড়া বেশ কিছু মারণরোগও ঠেকিয়ে রাখতে পারে কারিপাতা।তাই নিয়ম করে রোজ সকালে কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খেলে বা সবচেয়ে ভাল হয় ডিটক্স পানীয়ের মধ্যে কারিপাতা মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায় বেশি।

শরীরের মধ্যে জমা টক্সিন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বের করতে সাহায্য করে কারিপাতা ভেজানো জল। শরীরে জমা এই টক্সিন দূর করতে পারলে পেট থেকে শুরু করে ত্বক, চুলের যাবতীয় সমস্যা নিরাময় হয়। দেহের অতিরিক্ত ওজনও বশে থাকে।কারিপাতা ভেজানো জল খেলে পেটের সব ধরনের সমস্যাই বশে থাকে।এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সাহায্য করে কারিপাতা।তবে স্বাভাবিকভাবেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কারিপাতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।কারিপাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার এবং ভিটামিন।এই পাতার নিয়মিত ব্যবহারে শরীর এসবের ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। কারিপাতার পাশাপাশি তার রসও একই রকম উপকারি।

রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড।যে কোনও আঘাতের স্থান নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি।কারিপাতা সিদ্ধ জল চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়। কারি পাতা বাটা খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।সুতরাং মশলায় স্বাস্থ্যকর উপাদান হিসেবেই এগিয়ে রইল এই ভেষজ পাতা।