আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাঙালি রান্নাঘরের মশলার সারির অবিচ্ছেদ্য অংশ জিরে। জিরে গুঁড়ো থাকবেই প্রায় প্রত্যেক রান্নায়। তবে এই জিরে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না! শরীরের জন্য দারুণ ভাল! শুধুমাত্র মশলা হিসেবে নয়, এর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর গুন। সকালে খালি পেটে  জিরে ভেজানো জল খেয়ে দেখেছেন কখনও?এতে কী কী উপকার হবে শরীরের জানলে অবাক হবেন। 

এক চামচ জিরে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে আগেরদিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে সেই জল খেয়ে নিন। নিয়ম করে টানা ৬ মাস এই জল এইভাবে খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে পালাবে। সঙ্গে পেট ফাঁপা, বদহজম ও গ্যাস অম্বলের সমস্যা কাকে বলে একেবারে ভুলে যাবেন। দিনের শুরুতে অনেকেই জিরে ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পানীয় দারুণ কাজ করে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হজমশক্তি ভাল করতে হলে জিরে ভেজানো জল খেতে হবে রাতেও।

জিরে বিপাকের হার বাড়ায়। দেহের বাড়তি চর্বি অক্সিডাইজেশনের মাধ্যেমে শক্তিতে পরিণত করে। হজমে সহায়তা করে। ফলে দ্রুত কমতে থাকে ওজন। ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই জিরে ভেজানো জল। জিরেতে আছে কিউমিনালডিহাইড! যা ইনসুলিনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার। তাই জিরের জল খেলে সুগারের রোগীরাও ভাল থাকবেন। জিরে ভেজানো জল খেলে শরীরে জমা যত প্রকার টক্সিন রয়েছে, তা দূর হয়ে যায়। আবার, রাতে যদি এই পানীয় খান তা হলে শরীরে আর্দ্রতাজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভিটামিন এ, ই, বি-সহ থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মতো বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে জিরেতে। যা শরীরের বিপাকের হার ঠিক রাখে। হজম শক্তি বাড়ায় ও শরীরকে ঝরঝরে ও সুস্থ রাখে। জিরেতে ম্যাঙ্গানিজ়, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো যৌগ আছে! তাই নিয়মিত এই জল খেলে হাড়ের ব্যথা, আলস্য, ক্লান্তির মতো বিষয়গুলো দূর হবে।