আজকাল ওয়েবডেস্ক: পেটের মেদ কমাতে ‘ধনেদানা জল’ – দেশি রেসিপিতে নতুন আশার আলো, জানালেন বিশেষজ্ঞরা আজকের ব্যস্ত জীবনে পেটের মেদ বা বেলি ফ্যাট যেন এক অনাহূত সঙ্গী। কঠোর ডায়েট, ব্যায়াম ও ব্যয়বহুল জিম মেম্বারশিপও অনেক সময় এই মেদের সঙ্গে যুদ্ধ জেতাতে পারে না। চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করেছেন, কোমরের মাপ শুধু সৌন্দর্যের প্রশ্ন নয়, বরং বড়সড় স্বাস্থ্যঝুঁকিরও ইঙ্গিত বহন করে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হরমোনজনিত সমস্যা, এমনকি কিছু ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেও পেটের মেদের যোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন দেশি চিকিৎসা পদ্ধতির অনুরাগীরা সামনে এনেছেন এক সহজ, সস্তা এবং প্রাকৃতিক সমাধান—ধনেদানা জল। তাঁদের দাবি, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই বিশেষ জল পান করলে হজমশক্তি বাড়ে, বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) উন্নত হয় এবং দ্রুত পেটের চর্বি পোড়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ৬০ পেরিয়েও ঝড় তুলুন বিছানায়, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের বয়সকে হার মানানোর টিপস
পদ্ধতিটি কীভাবে?
বিশেষজ্ঞদের বর্ণনা অনুযায়ী, রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস জলে এক চা চামচ আস্ত ধনেদানা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল ভালভাবে ফুটিয়ে অর্ধেক পরিমাণে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে হালকা গরম অবস্থায় খালি পেটে পান করতে হবে। এই প্রক্রিয়া প্রতিদিন চালিয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন অনুভব করা সম্ভব।
উপকারিতা একাধিক
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের কথায়, “ধনেদানা জল শুধু মেদ কমায় না, বরং এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের টক্সিন দূর করে এবং পেটের ফুলে যাওয়া কমায়।” এছাড়াও, এর অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে—ত্বক উজ্জ্বল করা, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা,অনিয়মিত মাসিক চক্রের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা
সতর্কতা জরুরি
তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি কোনও অলৌকিক ওষুধ নয়। ফল পেতে হলে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও হালকা ব্যায়ামের সঙ্গে এটি মেনে চলতে হবে। গর্ভবতী মহিলা ও গুরুতর অসুস্থরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। প্রাচীন জ্ঞান আর আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি এই দেশি রেসিপি ফিটনেসের জগতে কতটা জনপ্রিয়তা পাবে, তা সময়ই বলবে। তবে ফিট ও সুস্থ থাকার লড়াইয়ে ‘ধনেদানা জল’ ইতিমধ্যেই নতুন কৌতূহল তৈরি করেছে।
