আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়স ৬০ পেরোলেই যৌনজীবন ফিকে হয়ে যাবে — এমন ধারণা এখন ভাঙছে দ্রুত। গবেষণা বলছে, ৬৫ থেকে ৮০ বছর বয়সী প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ যৌনভাবে সক্রিয়, এবং তাঁদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ তাঁদের যৌনজীবনে সন্তুষ্ট। ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার অ্যান্ড্রিয়া সানশাইন জানিয়েছেন, যৌনতা কেবল আনন্দই দেয় না, বরং মানসিক, শারীরিক ও আবেগগত সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্ড্রিয়ার মতে, বয়স বাড়লেও যৌনজীবন সচল রাখতে তিনটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি — খোলামেলা যোগাযোগ, শারীরিক ফিটনেস, ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।

যোগাযোগ ও সংযোগ:
অ্যান্ড্রিয়া পরামর্শ দেন, সঙ্গীর সঙ্গে নিজের চাহিদা, কল্পনা ও সীমারেখা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে। সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনা, এবং যৌনতার বাইরের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত— যেমন গল্প করা, হাঁটতে বের হওয়া বা কেবল আলিঙ্গন — সম্পর্ককে দৃঢ় করে।

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা:
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে শক্তি যোগায়, মুড ভালো করে এবং যৌনক্ষমতা বাড়ায়। সুষম খাদ্যাভ্যাস — ফল, শাকসবজি, লীন প্রোটিন সমৃদ্ধ — যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পর্যাপ্ত ঘুম এবং ধ্যান, হাঁটা বা প্রকৃতির সান্নিধ্যের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোও জরুরি।

নিরাপদ যৌনতা:
যে কোনও বয়সে যৌনবাহিত রোগ (STI) থেকে সুরক্ষা জরুরি। তাই কন্ডোম ব্যবহার, প্রয়োজনে HIV PrEP গ্রহণ, ও যৌনসম্পর্ক শুরুর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

আরও পড়ুন: সঙ্গীর যৌনমিলনে একেবারেই অরুচি? বিছানায় ঘনিষ্ঠ হতে চান না? নেপথ্যে থাকতে পারে বড় কারণ 

গবেষণায় দেখা গেছে, বয়সকালে যৌনতা শুধু সুখই দেয় না — একাকীত্ব কমায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, এমনকি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। তবে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে যৌনক্ষমতায় পরিবর্তন এলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খোঁজা উচিত। অ্যান্ড্রিয়ার বার্তা স্পষ্ট: “বয়স বাড়লেও সুস্থতা, আনন্দ আর ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে চাইলে শরীরকে সক্রিয় রাখুন, মনকে উন্মুক্ত রাখুন, আর সম্পর্কের ভিত গড়ুন যোগাযোগের মাধ্যমে।”

৬০ বছরের পরে যৌনতার ঘনত্ব হয়তো আগের মতো নাও থাকতে পারে, তবে বয়স বাড়লেও আপনার যৌনজীবন পরিপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হতে পারে। বয়সের সঙ্গে যৌনতার নানা উপকারিতা রয়েছে — যেমন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে সামগ্রিক সুস্থতা ও জীবনের আনন্দ বাড়ানো পর্যন্ত। মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে যৌনতা — এবং তা নিয়ে আপনার অনুভূতি — বদলাতে পারে। যদি এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয় বা যৌনজীবনে অসন্তুষ্টি থাকে, তাহলে খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। আপনার সঙ্গী, চিকিৎসক বা থেরাপিস্ট আপনাকে সমর্থন দিতে পারেন এবং যৌনজীবনকে নিরাপদ ও সন্তোষজনক করে তোলার পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন।