আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঠান্ডা জল এবং ঈষদুষ্ণ জল – উভয় প্রকার জলেই স্নান করার নিজস্ব উপকারিতা আছে। কোনটি আপনার জন্য বেশি উপকারী, তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থা, প্রয়োজন এবং আবহাওয়ার উপর। প্রত্যেক ব্যক্তির প্রয়োজন আলাদা, তাই কোন ধরনের জলে স্নান করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।

ঠাণ্ডা জলে স্নানের উপকারিতা
১.  রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: ঠান্ডা জল শরীরে লাগলে রক্তনালী প্রাথমিকভাবে সংকুচিত হয় এবং তারপর শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়ে আনতে সেগুলিকে প্রসারিত করে। এই প্রক্রিয়া রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
২.  সতর্কতা ও সতেজতা: ঠান্ডা জলের ঝাপটা শরীর ও মনকে তাৎক্ষণিকভাবে সজাগ ও সতেজ করে তোলে। এটি সকালের ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে খুব কার্যকর।
৩.  পেশীর ক্লান্তি দূর: ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর ঠান্ডা জলে স্নান করলে পেশীর প্রদাহ ও ব্যথা কমতে পারে এবং পেশীর শক্তি দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
৪.  ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: ঠান্ডা জল ত্বকের ছিদ্র এবং চুলের কিউটিকল সংকুচিত করে, যা ত্বককে টানটান রাখতে এবং চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে।
৫.  মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঠান্ডা জলে স্নান মানসিক চাপ কমাতে এবং মন ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি শরীরে এন্ডরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়।

ঈষদুষ্ণ (হালকা গরম) জলে স্নানের উপকারিতা
১.  শারীরিক ও মানসিক আরাম: হালকা গরম জল শরীরের পেশীগুলিকে শিথিল করে, দিনের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে আরাম দেয়।
২.  ভাল ঘুম: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে যা ঘুমের জন্য সহায়ক। এটি অনিদ্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩.  ত্বক পরিষ্কার: হালকা গরম জল ত্বকের ছিদ্র খুলে দেয়, ফলে সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করা সহজ হয়। ময়লা ও তেল সহজে দূর হয়।
৪.  সর্দি ও নাক বন্ধের উপশম: হালকা গরম জলের বাষ্প নাক ও শ্বাসযন্ত্রের পথ খুলে দিতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশি বা সাইনাসের সমস্যায় এটি বেশ আরামদায়ক।
৫.  ব্যথা উপশম: যাদের শরীরে বা গাঁটে ব্যথা থাকে, তাদের জন্য ঈষদুষ্ণ জলে স্নান আরামদায়ক হতে পারে, কারণ এটি পেশী এবং গাঁট শিথিল করে।