দুয়ারসিনি, পুরুলিয়া
ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে রয়েছে শাল-পিয়াল-শিমুলের বন। জঙ্গল-পাহাড়-নদীর সৌন্দর্য পেতে ভোরবেলা ট্রেনে চেপে বসলেই হল। দুয়ারসিনিতে জঙ্গলের মধ্যে ছোট ছোট কটেজে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাই আলাদা। দুয়ারসিনির কাছ দিয়েই বয়ে গিয়েছে সাতগুড়ুং নদী। গাড়ি ভাড়া করে দেখে নিতে পারেন টটকো জলাধার। আরও একদিন সময় পেলে আমলাশোল, ময়ূরঝর্না ঘুরে নিতে পারেন। চাইলে চলে যেতে পারেন ঘাটশিলাতেও। এখানে রয়েছে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘গৌরীকুঞ্জ’। বিভূতিভূষণের বহু লেখায় উঠে এসেছে এই অঞ্চলের জঙ্গলের রূপ, প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা। ঘুরে নিতে পারেন গালুডি, বুরুডি জলাধার, ধারাগিরি জলপ্রপাত।
সড়কপথে যেতে চাইলে, কলকাতা থেকে বান্দোয়ান বাস যায়। বান্দোয়ান থেকে ছোট গাড়ি বা ট্রেকারে দুয়ারসিনি। আর ট্রেনে যেতে চাইলে প্রথমে ঘাটশিলা যাওয়াই সুবিধা। নামতে পারেন গালুডি স্টেশনেও। সেখান থেকে দুয়ারসিনি কাছে। ভোরেই হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে চলে যেতে পারেন ঘাটশিলা বা গালুডি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে দুয়ারসিনি।
পিয়ালি আইল্যান্ড
মাতলার বুকে পিয়ালির মিশে যাওয়া, ম্যানগ্রোভ, প্রজাপতির পাখা মেলা দেখতে চাইলে বেরিয়ে পড়তেই পারেন পিয়ালি দ্বীপের উদ্দেশ্যে। অনেকে একে সুন্দরবনের প্রবেশ পথও বলেন। এক ফালি দ্বীপ পিয়ালিতে যাওয়ার পথে, বাঁকে বাঁকে উঁকি দেয় নদী। শীতকালে পিয়ালির আকর্ষণ অন্য রকম। ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিদের দল ভিড় করে নদীতে।
শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেন ধরে নেমে পড়ুন দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে। সেখান থেকে অটোতে কেল্লা। কেল্লা থেকে হাঁটা পথে প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে করতেই পৌঁছে যাবেন পিয়ালির অলিন্দে।
ভাটিন্ডা জলপ্রপাত, ধানবাদ
লোকচক্ষুর আড়ালে এমনই এক সুন্দর জলপ্রপাত রয়েছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। ধাপে ধাপে নেমে আসা এই ভাটিন্ডা জলস্রোত জঙ্গলঘেরা প্রকৃতির নির্জনতায় আপন মনে বয়ে চলেছে। এখান থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় তোপচাঁচি ও উস্রিও।
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে ধানবাদ। সেখান থেকে অটো বা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নেওয়া যায় ভাটিন্ডা। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে দেখা যেতে পারে আশেপাশের অঞ্চলও।
