অ্যানেস্থেসিয়োলজি এবং ইন্টারভেনশনাল পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. কুনাল সুদ ২৮ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানান, কিছু অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পুতে থাকা উপাদান যেমন কেটোকোনাজল বা সেলেনিয়াম সালফাইড কখনও কখনও বিকল্পভাবে ব্যবহার করা হয় মুখ ধোয়ার জন্য। বিশেষত, যাঁরা তথাকথিত ফাঙ্গাল অ্যাকনে-তে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই শ্যাম্পুগুলি কার্যকর হতে পারে বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন।

ড. সুদের মতে, এই বিশেষ ধরনের ব্রণ আসলে ব্যাকটেরিয়ার কারণে নয়, বরং ইস্ট সংক্রমণের কারণে হয়। তাই সাধারণ ব্রণ নিরাময়ের প্রচলিত চিকিৎসা এতে কাজ করে না। তাঁর ব্যাখ্যায়, অল্প সময়ের জন্য ত্বকে ব্যবহার করলে এই অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পুগুলি ইস্টের অতিবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ডার্সি সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি খুশকির শ্যাম্পু মুখ ধোওয়ার কাজে ব্যবহার করেন। এই পোস্টের জবাবেই মন্তব্য করেন চিকিৎসক ড. কুনাল সুদ।

নিজের ভিডিও বার্তায় ড. সুদ ব্যাখ্যা করেন, “কিছু অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু কখনও কখনও বিকল্পভাবে মুখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়, বিশেষত ফাঙ্গাল অ্যাকনে নিয়ন্ত্রণে।”

তিনি আরও জানান, সাধারণ ব্রণের মতো নয়, এই সমস্যাটি আসলে ইস্ট সংক্রমণের কারণে হয়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে নয়। তাই প্রচলিত ব্রণ চিকিৎসায় এর খুব একটা সাড়া মেলে না। খুশকির শ্যাম্পুতে সাধারণত যে উপাদানগুলি থাকেযেমন কেটোকোনাজল এবং সেলেনিয়াম সালফাইড, তাদের রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাগুণ। অল্প সময়ের জন্য ত্বকে ব্যবহার করলে এগুলি ইস্টের অতিবৃদ্ধি কমাতে সহায়ক হতে পারে। সাধারণত সপ্তাহে কয়েকবার, অল্প সময়ের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেলার মাধ্যমেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

তবে এই পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে দেন চিকিৎসক। তাঁর মতে, এই পদ্ধতি কোনওভাবেই মূল ব্রণ চিকিৎসা নয়, বরং কেবল একটি সহায়ক উপায়, যা সাবধানে ব্যবহার করা উচিত। কারণ বেশিরভাগ ব্রণই ব্যাকটেরিয়াজনিত, আর শ্যাম্পুর উপাদান মুখের ত্বকে জ্বালা বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তিনি পরামর্শ দেন, যদি ত্বকের সমস্যা চলতেই থাকে, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার মূল কারণ নির্ধারণ করা জরুরি।

ড. কুনাল সুদ তাঁর বার্তায় বলেন, “আসলে বেশিরভাগ ব্রণই ব্যাকটেরিয়াজনিত, তাই এই পদ্ধতি সবার ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। খুশকির শ্যাম্পুতে এমন কিছু ডিটারজেন্ট থাকে, যা মুখের ত্বকের জন্য তৈরি নয়, ফলে অনেকের ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই এটিকে কোনওভাবেই প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে ধরা উচিত নয়, বরং সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা দরকার। সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে, যাতে আসল কারণ ধরা যায়।”

নিজের ক্যাপশনে তিনি আরও লিখেছেন, “আপনার খুশকির শ্যাম্পুই কি মুখ ধোয়ার কাজে লাগতে পারে? কিছু অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পুতে কেটোকোনাজল  বা জিঙ্ক পাইরিথিয়ন থাকে, যা ফাঙ্গাল অ্যাকনে কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে কেবল তখনই, যদি সমস্যাটি ইস্টের কারণে হয়ে থাকে। যেহেতু বেশিরভাগ ব্রণ ব্যাকটেরিয়াজনিত, তাই এই কৌশল সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।”