আজকাল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হোক কিংবা দূষণের বাড়বাড়ন্ত, অল্প বয়সেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কারওর রুক্ষ্ম-শুষ্ক ত্বক, কারওর আবার হাজার যত্নেও থাকে না জেল্লা৷ তবে সারা বছর যেমন-তেমনভাবে চলে গেলেও পুজোর সময়ে হারানো জেল্লা ফেরত পেতে চান সকলেই। তাই তো পুজোর আগে জোরকদমে শুরু হয়ে যায় রূপচর্চার কেরামতি। তবে সবসময়ে যে নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেই ফল পাওয়া যায় তেমন নয়। সেক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া ক্রিমের উপর ভরসা রাখতে পারেন। যা মাত্র সাত দিন মাখলেই ত্বক থাকবে টানটান, পুজোয় হবেন নজরকাড়া।

৬-৭টি আমন্ড বাদাম ও হাফ কাপ চাল ধুয়ে খানিকটা জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন বাদাম ও চাল ভেজানো জল সমেত সমস্ত উপকরণ ব্লেন্ড করে নিন। খেয়াল রাখবেন, জলের পরিমাণ যেন বেশি না হয়। পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে পেষ্ট করা মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এবার এতে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ও কয়েকটি কেশরের টুকরো দিয়ে দিন। খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিমটি মুখে মেখে দু'মিনিট ম্যাসাজ করুন। সকালে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনের অন্য সময়ে মাখলে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন। খুব ভাল ফল পেতে সারাদিনে দু'বার ব্যবহার করতে পারেন।

আমন্ডে থাকা ভিটামিন এ,ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-৭, এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান ত্বককে হাইড্রেট ও ময়শ্চারাইজ করে। ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে আমন্ড। ব্ল্যাকহেডস ও ব্রণ প্রতিরোধেও কার্যকরী এই ড্রাই ফ্রুট।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দূর করতেও কার্যকর চাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাল মুখের প্রাকৃতিক আভা বজায় রাখে। এছাড়া কেশরের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং লাবণ্য ফিরিয়ে আনে। এটি ত্বকে মেলানিন তৈরি করে। সঙ্গে কালো দাগ এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়।
মনে রাখবেন, চটজলদি জেল্লা আনতে প্রথমেই দরকার নিদিষ্ট সিটিএম রুটিন মেনে চলা। যার জন্যে দিনে দু’বার প্রথমে ক্লিনজারের মাধ্যমে মুখ পরিষ্কার করুন, এরপর লাগান টোনার এবং শেষে ত্বক অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ফেস সিরামও লাগাতে পারেন। এই নিয়মে কয়েকদিনে ফিরে পাবেন ত্বকের হারানো জেল্লা। একইসঙ্গে সকালে বেরনোর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান। মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করতে ভুলবেন না। ত্বক অনুযায়ী পছন্দের স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হলে ত্বকরন্ধ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছবে। এতেই বাড়বে ত্বকের জেল্লা।