আজকাল ওয়েবডেস্ক: অন্ধকার, নোংরা এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বংশবিস্তার করতে পারে আরশোলা। কখনও কখনও এই প্রাণীর উপদ্রবে ঘুম ছোটার জোগাড় হয় গৃহস্থের। বাড়িতে রান্নাঘরে এবং বাথরুমে সব থেকে বেশি আরশোলার উপদ্রব দেখা যায়। বিশেষ করে রাতের বেলায় নিস্তব্ধ পরিবেশে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় আরশোলা। অনেকেই আরশোলা তাড়ানোর জন্য স্প্রে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই বাজার চলতি স্প্রেগুলি যেমন নি:শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তেমনই অনেক সময়ে স্প্রে করেও তেমন লাভ হয় না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় রেহাই পেতে পারেন। 

১. চিনি এবং বেকিং সোডা- সকলের বাড়িতেই বেকিং সোডা এবং চিনি থাকে৷ একটি পাত্রে চিনি এবং বেকিং সোডা গুঁড়ো মিশিয়ে যে সমস্ত জায়গায় আরশোলার বাড়বাড়ন্ত, সেখানে ছড়িয়ে দিন। এতেই দ্রুত আরশোলার উপদ্রব কমবে।

২. তেজপাতা- আরশোলার যম তেজপাতা। তেজপাতা গুঁড়ো করে আরশোলার উপদ্রবের জায়গায় ছড়িয়ে দিন। আরশোলা নির্বংশ হতে বেশি সময় লাগবে না৷

৩. পেঁয়াজ- রসুন, পেঁয়াজ এবং লাল লঙ্কার পেস্ট তৈরি করে জলে ফোটান। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে নিন। বাড়ির যেখানে আরশোলা দেখবেন সেখানেই ছড়িয়ে দিন। মিশ্রণটির কড়া গন্ধে দ্রুত পালাবে আরশোলা। 

৪. নিম তেল, পাউডার- নিম তেল অথবা নিম পাউডার আরশোলার জন্য বিষ। জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিন। এই তেল অন্যান্য কীটপতঙ্গও দূর করে।

৫. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: রান্নাঘর পরিষ্কার, শুষ্ক না থাকলে শুধু আরশোলা নয়, অন্যান্য কীটপতঙ্গও বাসা বাঁধতে পারে। রান্নাঘরে যে জায়গাগুলি অপরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলি বারবার মুছে পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করুন। কোনওভাবেই যেন খাবারের টুকরো পড়ে না থাকে সেদিকে নজর দিন। পচনশীল বস্তু সরান: উচ্ছিষ্ট খাবার হোক অথবা শাকসবজির খোসা, পচনশীল যে কোনও জিনিস বাড়িতে রাখলে আরশোলার উপদ্রব বাড়ে। ছোট হোক অথবা বড়, যে সমস্ত জায়গায় গর্ত বা ফাটল রয়েছে সেগুলি বন্ধ করে দিন। এই সব জায়গা থেকেও আরশোলা আসতে পারে।