আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতকালে সর্দি-কাশি থেকে একাধিক রোগের দাওয়াই মধু। রোজনামচায় মধুর বহুবিধ উপকারিতা সকলেরই জানা।বিশেষ করে আযুর্বেদে বিভিন্ন জটিল রোগের নিরাময় করতেও মধুর কার্যকারিতার উল্লেখ রয়েছে। ওজন কমাতে অনেকে সকালে হালকা গরম জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে খান। আবার ইদানীং চিনির বদলে চায়েও মধু দেওয়ার চল রয়েছে। তবে জানেন কি মধুর সঙ্গে হেঁশেলের একটি মশলা মেশালে শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ হয়। মধু ও গোলমরিচ একসঙ্গে খেলে বিভিন্ন রোগভোগ প্রতিরোধ করা যায়।
আসলে মধু ও গোলমরিচ নানা ঔষধি উপাদানে ভরপুর। যা সর্দি-কাশি থেকে শুরু থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের যে কোনও রোগ থেকে বাঁচায়। মধুতে রয়েছে ভিটামিন কে, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। অন্যদিকে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ গোলমরিচ। এক চামক বিশুদ্ধ মধু হালকা গরম করে তাতে দিন এক চিমটে গোল মরিচ। নিয়মিত এটি খেলেই হাতেনাতে পাবেন উপকার।
মধু ও গোলমরিচের মিশ্রণ সর্দি-কাশি সহ শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও স্বস্তি দিতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণের সঙ্গে কাঁচা হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কখনও কখনও খেতে পারেন ঘি আর গোলমরিচও। আর্থ্রারাইটিসের ব্যথা আর ভাল ঘুমের জন্য দারুণ কাজে আসে এই টোটকা।
গোলমরিচ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গোলমরিচকে ইনসুলিনের অন্যতম সেরা উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় গোলমরিচ অন্তর্ভুক্ত করা ভাল। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিনির বদলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প মধু। কাঁচা রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে পারবেন।
