রোজকার জীবনে টুকটাক জিনিস আকছার ভুলে যান? এমনকী কোনও জরুরি কাজ থাকলেও সেটা অনেক সময় ভুলে যাচ্ছেন বা কোথাও লিখে রাখছেন, ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখছেন? এই চক্রবূহ থেকে বেরোনোর জন্য বেছে নিন ৫ জাপানি পদ্ধতি। 

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী গ্লোবাল হেলথ ইনডেক্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। বিশ্বের অন্যতম সুস্থ জীবনযাপনের দেশ এটি। ওকিনাওয়ার বাসিন্দারা অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় ১০০ বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচেন। এই দেশের নাগরিকরা তাঁদের মস্তিষ্ককে শার্প রাখতে কী কী করেন জেনে নিন। 

প্রথমেই বলা যাক ক্যালিগ্রাফির কথা। জাপানি পদ্ধতির ক্যালিগ্রাফি শোডোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতিতে কালিতে ব্রাশ চুবিয়ে কাঞ্জি, কানা চরিত্র আঁকা হয়ে থাকে।

মেডিটেশন বা ধ্যান করা। বুদ্ধের ভঙ্গিতে বসে শ্বাস নেওয়ার ধরনে মনোযোগ দেওয়াকে জ্যাজেন মেডিটেশন বলে। এতেও মস্তিষ্ক শার্প হয়। বাড়ে মনে রাখার ক্ষমতা। কমে স্ট্রেস। 

স্কুল জীবনে নিশ্চয় মেমোরি গেম খেলেছেন? তারই একটা ধরন হল এই জাপানি আঙ্কি। কোনও নির্দিষ্ট জিনিসকে পরপর মনে করার চেষ্টা করলে ব্রেন শার্প হয়। বৃদ্ধি পায় রাখার ক্ষমতা। জাপানে দেখা গিয়েছে যে ছাত্ররা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাঁরা পরীক্ষায় ভাল ফল করেন। 

শব্দ এবং নম্বরের মধ্যে যদি লিংক তৈরি করতে পারেন তাহলেও কিন্তু সেটা আপনাকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিকে জাপানে গোরোআওয়েজ বলে। 

আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হল সুশি পাজেল খেলা। বুদ্ধি দিয়ে, বুঝে বুঝে এই খেলা খেললে যেমন স্ট্রেস কমে, তেমনই বুদ্ধি এবং মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। 

রোজকার জীবনে তাই আকছার জিনিস বা কাজ ভুলে গেলে, বা এমনিও পড়াশোনা, কাজে আরও মনোযোগ বাড়াতে চাইলে এই পদ্ধতিগুলির একটা করে দেখতে পারেন।