আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুষ্টিবিদরা বলেন, রোজ একটা করে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। অনেকেই ব্রেকফাস্টে ডিম সেদ্ধ কিংবা পোচ অথবা অমলেট খান। তবে বয়স খানিকটা বাড়লে ডিম খেতে অনেকেই ভয় পান। বিশেষ করে কোলেস্টেরল এবং হার্টের সমস্যায় ডিম খাওয়া উচিত কিনা, এই নিয়ে দ্বিধার শেষ নেই। একইসঙ্গে ওজন কমাতে চাইলেও সেদ্ধ, পোচ নাকি অমলেট কীভাবে ডিম খাবেন? জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-
ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। হিসেব অনুযায়ী, একটি ডিম থেকেই প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন মেলে। তাই দেহে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটানোর কাজে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। এই সস্তায় পুষ্টিকর খাবার নি:সন্দেহে ভিটামিন এ, ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার।
ডিম শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা নির্ভর করছে কীভাবে খাচ্ছেন, তার উপর৷ যদি ক্যালরি কম রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে পাতে রাখুন ডিম সিদ্ধ৷ চিকিৎসকেদের মতে, ভাজা ডিম অর্থাৎ ওমলেট বা পোচের তুলনায় সেদ্ধ ডিমই শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী। শুধু তাই নয়, ডিম সিদ্ধ করা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। ডিম সিদ্ধ খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
অমলেটের খাদ্যগুণও ডিম সিদ্ধর মতো প্রায় একই৷ বরং অমলেটে নানান সবজি, মাশরুম কিংবা চিকেন যোগ করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়৷ তবে অতিরিক্ত তেল বা চিজ দিলে বাড়ে ক্যালোরি। ওজন কমাতে কিংবা কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভিটামিনের সঙ্গে প্রোটিন চাইল অল্প তেলে অমলেট করে খেতে পারেন৷
ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল বা হাই প্রেশার থাকলে রোজ রোজ অমলেট খাওয়া চলবে না। এমনকী ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলেও এই খাবার এড়িয়ে চলুন। তবে চাইলে মাঝেমধ্যে বেশ কিছু সবজি সহযোগে অল্প তেলে অমলেট বানিয়ে খেতেই পারেন। তবে তেলে ভেজে ডিম খাওয়ার চেয়ে কড়াইয়ে তেল মাখিয়ে পোচ করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
