আজকাল ওয়েব ডেস্ক: যে কোনও আনন্দ উৎসবের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সকালে বিরিয়ানি তো রাতে চাইনিজ। আর এসবের মধ্যেই মিষ্টির জায়গা কিন্তু কেউ নিতে পারে না।বিশেষ করে ভাইফোঁটায় পাঁচ রকম মিষ্টি দিয়ে থালা সাজানোর রীতি রয়েছে। এদিকে ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বোন-দিদির হাতে মিষ্টি খেয়েও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্লাড সুগারের চোখ রাঙানি কীভাবে উপেক্ষা করবেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস মানে জীবন থেকে পছন্দের সব বাদ চলে গেল এমনটা একেবারেই নয়। ডায়াবেটিস নিয়ে ভুল ধারণা আছে। অনেকেই ভাবেন মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয়, এমনটা একেবারেই নয়। কিন্তু রক্তে শর্করা বাড়তে শুরু করলে তখন মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানতে হবে বই কি!

ফোঁটা নেওয়ার সময়ে মিষ্টি খাওয়া হয়েই য়ায়। সেক্ষেত্রে ডায়াবিটিস রোগীরা ভাজা মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। কারণ এই ধরনের মিষ্টি ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠিক একইভাবে খাওয়া যাবে না রসের মিষ্টি। তার বদলে খেতে পারেন হালকা মিষ্টিযুক্ত সন্দেশ। এখন বেশিরভাগ দোকানেই সুগার ফ্রি দেওয়া মিষ্টি বানায়। খেতেও দারুণ। তেমন মিষ্টি খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতি বোধ থাকাটা খুবই জরুরি। অর্থাৎ দোকানের মিষ্টি খান বা বাড়ির, দিনে একটার বেশি খাওয়া চলবে না। ভাইফোঁটার দিন মিষ্টি খাওয়া হলে ওইদিন চা ও কফিতে চিনি দুধ মেশানো বন্ধ রাখুন। বদলে গ্রিন টি কিংবা ভেষজ চা খেতে পারেন। চকোলেট, আইসক্রিম, চাটনির মতো কোনও মিষ্টি খাবারও যতটা সম্ভব কম খান।

মিষ্টি খেলেও ঘাম ঝরিয়ে খানিকক্ষণ হেঁটে নিন। বিশেষ করে পরদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন না, তাঁরা ৪৫ মিনিট অবশ্যই হাঁটুন। এছাড়াও সময় মতো খান ওষুধ।