তীর্থঙ্কর দাস: ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। স্বপ্ন দেখার শেষ নেই। স্বপ্ন না দেখলে বাস্তবায়ন হওয়া কঠিন। তাই তো বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বছর ১১- এর বনিতা সর্দার। মুকুন্দপুরের এক আবাসনে নিরাপত্তারক্ষী বনিতার বাবা। আবাসনের নীচে ছোট ঘরেই সুন্দর সংসার। মা পরিচারিকার কাজ করেন। শেষ ৪-৫ বছর ধরে কলকাতাতেই থাকে ছোট্ট বনিতা এবং তাঁর বাবা- মা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার গঙ্গানগর গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। 


আজকাল ডট ইনকে ছোট্ট বনিতা বলে, "বাবা গ্রাম থেকে আমাদেরকে নিয়ে এসেছে, ওখানে অনেক কষ্ট করে থাকতাম। বাবা চাইতো আমি পড়াশোনা করি তাই শহরে চলে আসা।'' সে আরও জানায়, প্রতিদিন সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠি এবং স্কুলে চলে যাই। স্কুল থেকে ফিরে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে একাই পড়াশোনা করতে বসি। অসুবিধে হলে বাবা পড়িয়ে দেয়। যাদবপুরের আদর্শ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বনিতা।

 

বনিতার বাবা, বুবাই সর্দার পেশায় নিরাপত্তারক্ষী আজকাল ডট ইনকে বলেন, "মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই, আর্থিক ভাবে বেশি ক্ষমতা নেই আমাদের, তা-ও যতটা পারি সৎ পথে থেকে রোজগার করে মেয়েকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চাই।" মা নমিতা সর্দার বলেন, ''মেয়ে আমার নাচতে ভালোবাসে। ওকে নাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় এক নাচের স্কুলে। ওর অঙ্ক, ইংরাজি, বাংলা এই তিনটে বিষয় খুব পছন্দের, পরীক্ষার ফল ভালই করছে।" 


বনিতার ইচ্ছা বড় হয়ে মানুষের সেবা করবে বিনামূল্যে, তাই তো ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হওয়ার জন্য আরও বেশি করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে বলেও আশাবাদী বনিতার মা-বাবা।