আজকাল ওয়েবডেস্ক: লক্ষ্য অচলাবস্থা কাটানো, লক্ষ্য সমাধান খোঁজা। সেই কারণেই একের পর এক ইমেল, পাল্টা ইমেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারের পক্ষও থেকে আন্দলনরত চিকিৎসকদের ইমেল করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বেশকিছু  শর্ত ছিল চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, গোটা আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে।

সরকারের পক্ষও থেকে জানানো হয়, লাইভ স্ট্রিমিং নয়, স্বচ্ছতার খাতিরে গোটা আলোচনা রেকর্ডিং হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ জনের প্রতিনিধি দলকে আসতে বলা হলেও, জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি জানান, অন্তত ২৬ জন যাবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩২ জনের প্রতিনিধি বাসে করে নবান্নতে পৌঁছলে, সরকার তাতেও রাজি হয়ে যায়।

বিকেল ৫টা থেকে প্রায় সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত নবান্ন সভাঘরে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একে একে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ, সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। চিকিৎসকরা নবান্নর সামনেই দফায় দফায় বৈঠক করেন। 

রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে আলোচনার। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার জন্যই এই আলোচনার ডাক। লাইভ স্ট্রিমিং-এর পরিবর্তে, ভিডিও রেকর্ডিং করার কথা জানানো হয় তাঁদের তরফ থেকে।  অন্যদিকে চিকিৎসকরা বারবার বুঝিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং না হলে আলোচনায় 'হ্যাঁ' নয়। অপেক্ষা এখন চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তর।