আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার মহাবীর জয়ন্তী দিবস। বুধবারে জৈন সম্প্রদায়ের উদ্যোগে উদযাপিত হচ্ছে নবকার মহামন্ত্র দিবস। নেতাজি ইনডোরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১০ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বক্তব্যের শুরুতেই সকলকে ধন্যবাদ জানান মমতা। বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জৈনদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ঐক্য আর সম্প্রীতি থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলায় দুর্গাপুজো থেকে ইদ, মহাবীর জয়ন্তী থেকে বড়দিন সব ধর্মের উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। আমাকে গুলি করে মারলেও ঐক্যের পর থেকে সরব না।" 

কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেউ চাইলে যেমন দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে পারেন। ঠিক সেভাবেই বড়দিন বা মহাবীর জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া যায় না।" মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে ১০ এপ্রিল রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। সে বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সব ধর্মের মানুষ যাতে উৎসব পালন করতে পারেন সেটা দেখেই ছুটির ক্যালেন্ডার করা হয়।" তিনি বলেন, জৈন ধর্মের অনুষ্ঠানে যেমন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, ঠিক সেরকমই কালীঘাটে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনেও সব সম্প্রদায়ের মানুষের আমন্ত্রণ রয়েছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন থেকে, শিমলা স্ট্রিটে স্বামীজি বাড়ির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তিনি আরও জানান, উদ্বোধনের পর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে থাকবেন ইসকনের প্রভুপাদরা। মমতা বলেন, "ছোটবেলা থেকে বইয়ের পাতায় অনেক জৈন মন্দির সম্পর্কে পড়ার পর আমি একাধিকবার পরেশনাথ মন্দিরে গিয়েছি। আসলে এটাই বাংলার শক্তি যেখানে মনুষ্যত্বের পরিচয়টাই সবথেকে বড়। ধর্ম দিয়ে মানুষের বিচার করা যায় না।" নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে সম্প্রীতির বার্তাই দিলেন মমতা।