আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই কলকাতা পুলিশের তরফে মিলতে পারে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি। আর তারপরেই শুরু হয়ে যাবে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ।

বৃহস্পতিবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা মেট্রোর তরফে। উল্লেখ্য, আদালতের তরফে সম্মতি মিললেও পুলিশের তরফে এনওসি না পাওয়ায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল চিংড়িঘাটার মোড়ে মেট্রোর কাজ।

শুক্রবার থেকে এই কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের কাজ এগোনোর জন্য চিংড়িঘাটার কাছে ৩৬৬ মিটার এলাকা জুড়তে হবে।

কিন্তু তার জন্য দরকার ট্রাফিক ব্লক আর তার জন্য দরকার পুলিশের অনুমতি। কলকাতা পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়, সদ্য দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

শুক্রবার থেকে ইডেনে শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহের শেষে বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুও।

রবিবার শহরে একটি মেগা ম্যারাথন দৌড়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে চিংড়িঘাটায় ট্রাফিক ব্লক দিলে ব্যাপক যানজটের সম্ভাবনা থাকবে।

সে কারণে চলতি সপ্তাহের ব্যস্ত রুটিন কাটিয়ে আগামী সপ্তাহে এনওসি দেওয়া হতে পারে পুলিশের তরফে। এর আগে জানানো হয়েছিল, পুজো মিটলেই শুরু হয়ে যাবে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ।

কলকাতা মেট্রোর জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছিল, চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ বর্তমানে বিচারাধীন বিষয়। ফলে, মেট্রো কর্তৃপক্ষের হাতে ব্যাপারটা নেই। 

তবে, চিংড়িঘাটা নিয়ে যে জট ছিল তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সব পক্ষের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল নভেম্বরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ হবে। 

মেট্রোর তরফে বলা হয়, পুজো মিটলেই পুলিশের তরফে যেদিন অনুমতি দেওয়া হবে তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।

চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট কেটে কাজ মিটে গেলে সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কবি সুভাষ জুড়ে যেতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। বর্তমানে, কবি সুভাষ থেকে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো বেলেঘাটা পর্যন্ত আসে।

চিংড়িঘাটার কাজ মিটে গেলে তা সেক্টর ফাইভ হয়ে বিশ্ব বাংলা পর্যন্ত চালু হয়ে যেতে পারবে অনায়াসে। উল্লেখ্য, যাত্রীদের পরিষেবায় উন্নতির জন্য বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছে কলকাতা মেট্রো।

খুব শিগগিরই টিকিট কেনা ও ভাড়ার সমস্ত প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ অ্যাপ-ভিত্তিক অর্থাৎ যাত্রীদের আর টিকিট কাউন্টারে দাঁড়াতে হবে না কিংবা আলাদা স্মার্ট কার্ড বহন করতে হবে না।

শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শুভ্রাংশু শেখর মিশ্র একথা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যাত্রীরা যেন আর কিছু বহন না করেন। শুধু তাঁদের মোবাইল ফোন থাকলেই যথেষ্ট।আমাদের লক্ষ্য, ভাড়ার সমস্ত লেনদেন একেবারে ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।’

মিশ্র জানান, ম্যানুয়াল টিকিট কাউন্টারে ভিড় কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে সহজেই মোবাইল অ্যাপ বা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে ভাড়া দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই কলকাতা মেট্রো তাদের টিকিটিং সিস্টেমকে আরও আধুনিক করছে।

এই ঘোষণার মাধ্যমে মেট্রো রেলওয়ে তাদের পরিষেবার পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো আপডেটের কথাও জানান।

বিশেষ করে, ব্লু লাইন বা মূল উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডরের জন্য কমিউনিকেশন-বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম চালুর অনুমোদন ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

এই আধুনিক সিগন্যালিং প্রযুক্তি আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান জিএম।