আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাস কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুনে পুড়ে ছাই একের পর এক দোকান। প্রাথমিকভাবে দমকলও আগুন নিয়ন্ত্রণে সমর্থ হয়নি। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলেও, এখনও আতঙ্ক এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এখনও একাধিক জায়গায় ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। 


দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলি বাগানের রামগড় বাজারে গতকাল রাত দেড়টার সময় ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অন্তত ৪০টি দোকান। স্থানীয়রা আগুন দেখেই জড়ো হন তৎক্ষণাৎ। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের আটটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। 

 

স্বাভাবিকভাবেই বিরাট ক্ষতিতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? নেপথ্যে কি শট সার্কিট, নাকি অন্য কোনও কারণ? নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি এখনও। তবে, পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই ভিতরে আটকে থাকা সকলকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনী। 

 

গতকাল রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের  ঘটনা ঘটে রাজ্যের আরও এক জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার বড়িষা এলাকায় গভীর রাতে য়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টা ৩০ নাগাদ আচমকাই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এলাকার একটি বেকারি। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন, আর তার জেরে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বেকারি।

 

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পিংলা থানার পুলিশ। এরপর দমকল বিভাগকে জানানো হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন আয়ত্তে আসে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে ততক্ষণে গোটা বেকারিই ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে এবং সেইসঙ্গে ছাই হয়ে গিয়েছে বড়দিনের কেক প্যাস্ট্রি'র তৈরির সমস্ত প্রস্তুতিও। ক্ষতির পরিমাণ বিপুল।  স্থানীয়দের দাবি, দোকানের ভিতরে দাহ্য সামগ্রী থাকার কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে

 

যদিও সেখানেও, এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি অগ্নিকাণ্ডের কারণ। শট সার্কিট নাকি অন্য কোনও কারণে এই বিরাট ক্ষতি, জানা যায়নি তা। খতিয়ে দেখতে দমকল ও পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বেকারির মালিকের বিপুল আর্থিক ক্ষতি, ভাবাচ্ছে সকলকে। বেকারি মালিক সৌল মণ্ডলের দাবি, রাত প্রায় সাড়ে বারোটার সময় শর্ট সার্কিটের জেরে কারখানাতে আগুন লেগে যায়। প্রথমে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কারখানার পাশে স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।

 

পরবর্তী সময়ে পিংলা থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। বনস্পতি বা ঘি-এর মতো দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার ভিতরে থাকা প্রচুর কাঁচামাল ও ইলেকট্রিক মোটর-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। রাজ্যের দুই প্রান্তে, দুই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, বিপুল ক্ষতি হয়েছে।