তীর্থঙ্কর দাস: কলকাতার অজানা ইতিহাস। রোজ আমরা যে সব রাস্তার উপর দিয়ে চলাফেরা করি সেসব রাস্তার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। আজ আজকাল ডট ইন-এর পাতায় দর্শকদের সামনে ডুয়েল অ্যাভিনিউয়ের গল্প এবং তার নামকরণের পিছনের ইতিহাস।
কলকাতায় ডুয়েল অ্যাভিনিউ বলে যে একটা রাস্তা আছে সেটা কি জানেন! কলকাতা আর্মড ফোর্সের হেড কোয়ার্টার বডি গার্ড লাইন্সের আউট গেটের ভেতর দিয়ে সরু রাস্তা চলে গিয়েছে ভারত সরকারের আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র বা মৌসম ভবনের দিকে! সরু রাস্তাটা ডেড এন্ড বা সেখানেই শেষ! রাস্তার দৈর্ঘ্য হবে ১০০-১৫০ মিটার।
ডুয়েল কথার অর্থ হল দুই বীর বা যোদ্ধার মধ্যে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে লড়াই! নিজেদের পৌরুষ যাচাইয়ের লড়াই! উদ্দেশ্য একে অপরকে আহত করা। কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই লড়াই ঘটে থাকতো প্রেয়সীকে পাওয়ার অদম্য ইচ্ছের জন্য। এমন লড়াই আমরা মহাকাব্যে দেখতে পাই!
আজ থেকে প্রায় ২৪৩ বছর আগেকার কথা। ১৭ অগাস্ট ১৭৮০। ভোর সাড়ে পাঁচটায় তৎকালীন বাংলার গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস সাহেব আর ফিলিপ ফ্রান্সিস, বাংলার গভর্নিং কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঘোড়া চালিয়ে উপস্থিত হন "বেলভেডিয়ার এস্টেটের"(ন্যাশনাল লাইব্রেরি)সামনে! জন-মানবহীন নির্জন এই জায়গাকে লড়াইয়ের উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে ১৪ পায়ের স্টেপ গুনে চকিতে ঘুরে একে অপরের দিকে গান ফায়ার করেন। ব্রিটিশ পরাধীন ভারতে সেদিন সূর্যোদয়ের প্রাক্কালেই ঘটে যায় সেই "ডুয়েল"! এই ঘটনায় ফিলিপ ফ্রান্সিস আহত হন এবং পরবর্তীকালে সুস্থ হয়ে ব্রিটেনে ফিরে যান। কোর্ট দুর্নীতিগ্রস্ত ওয়ারেন হেস্টিংসকে ইম্পিচ করার ব্যবস্থা নেয়। এই ডুয়েলের কারণ হিসাবে যদিও বলা হয় দুজনের মধ্যে পেশাদারী শত্রুতা, কিন্তু ইতিহাসের দেওয়ালে কান পাতলে উঠে আসে অন্য কথা। ফিলিপ ফ্রান্সিস এক অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়েন লেডি ক্যাথেরিনের সঙ্গে! হাতেনাতে ধরা পড়ায় তাকে সম্মুখীন হতে হয় এই "ডুয়েলের"!
সেই ঘটনার পর থেকেই এই রাস্তার নাম হয় ডুয়েল অ্যাভিনিউ। যদিও আজ সেই রাস্তার হয়েছে আমূল পরিবর্তন! তবুও সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে।
কলকাতায় ডুয়েল অ্যাভিনিউ বলে যে একটা রাস্তা আছে সেটা কি জানেন! কলকাতা আর্মড ফোর্সের হেড কোয়ার্টার বডি গার্ড লাইন্সের আউট গেটের ভেতর দিয়ে সরু রাস্তা চলে গিয়েছে ভারত সরকারের আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র বা মৌসম ভবনের দিকে! সরু রাস্তাটা ডেড এন্ড বা সেখানেই শেষ! রাস্তার দৈর্ঘ্য হবে ১০০-১৫০ মিটার।
ডুয়েল কথার অর্থ হল দুই বীর বা যোদ্ধার মধ্যে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে লড়াই! নিজেদের পৌরুষ যাচাইয়ের লড়াই! উদ্দেশ্য একে অপরকে আহত করা। কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই লড়াই ঘটে থাকতো প্রেয়সীকে পাওয়ার অদম্য ইচ্ছের জন্য। এমন লড়াই আমরা মহাকাব্যে দেখতে পাই!
আজ থেকে প্রায় ২৪৩ বছর আগেকার কথা। ১৭ অগাস্ট ১৭৮০। ভোর সাড়ে পাঁচটায় তৎকালীন বাংলার গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস সাহেব আর ফিলিপ ফ্রান্সিস, বাংলার গভর্নিং কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঘোড়া চালিয়ে উপস্থিত হন "বেলভেডিয়ার এস্টেটের"(ন্যাশনাল লাইব্রেরি)সামনে! জন-মানবহীন নির্জন এই জায়গাকে লড়াইয়ের উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে ১৪ পায়ের স্টেপ গুনে চকিতে ঘুরে একে অপরের দিকে গান ফায়ার করেন। ব্রিটিশ পরাধীন ভারতে সেদিন সূর্যোদয়ের প্রাক্কালেই ঘটে যায় সেই "ডুয়েল"! এই ঘটনায় ফিলিপ ফ্রান্সিস আহত হন এবং পরবর্তীকালে সুস্থ হয়ে ব্রিটেনে ফিরে যান। কোর্ট দুর্নীতিগ্রস্ত ওয়ারেন হেস্টিংসকে ইম্পিচ করার ব্যবস্থা নেয়। এই ডুয়েলের কারণ হিসাবে যদিও বলা হয় দুজনের মধ্যে পেশাদারী শত্রুতা, কিন্তু ইতিহাসের দেওয়ালে কান পাতলে উঠে আসে অন্য কথা। ফিলিপ ফ্রান্সিস এক অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়েন লেডি ক্যাথেরিনের সঙ্গে! হাতেনাতে ধরা পড়ায় তাকে সম্মুখীন হতে হয় এই "ডুয়েলের"!
সেই ঘটনার পর থেকেই এই রাস্তার নাম হয় ডুয়েল অ্যাভিনিউ। যদিও আজ সেই রাস্তার হয়েছে আমূল পরিবর্তন! তবুও সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে।
