আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার খাতায় নম্বর গরমিলের অভিযোগ পড়ুয়াদের। দাবি, কমপক্ষে ৫০-১০০ জন পড়ুয়ার খাতা না দেখেই নাকি নম্বর দিয়েছেন এক অধ্যাপক। খাতাগুলি পুনর্মূল্যায়নের সময় ধরা পড়েছে বিষয়টি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ল অ্যান্ড এথিকসকের খাতায় গরমিলের অভিযোগ। সবদিক ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের কাছে একাধিক ডেপুটেশনও জমা পড়েছে। এই বিষয়ে এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল উচ্চ শিক্ষা দপ্তর।
ওই বিভাগের পড়ুয়া দেব কুমার মল্লিক আজকাল ডট ইনকে জানালেন, 'আমরা যখন ৩ মাস আগে ২০২২-২৪ ব্যাচের রেজাল্ট পাই, তখন আমাদের নম্বরের বিষয়টা দেখে সন্দেহ হয়। আমাদের ইন্টারনাল পরীক্ষার কপির নম্বর কাগজে করে লিখে এনে বলা হত। শুধু তাই নয় যে বা যারা খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কাউকে সাপ্লি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বা নম্বর কমিয়ে দিয়েছে। পুরো বিষয়টা নিয়ে আমরা পুজোর আগে থেকে বসে আছি, বাধ্য হয়ে আমরা বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টা বলি এবং তিনি শুনে চমকে ওঠেন। সুরাহা না মেলায় ডিনকে জানানো হয় কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ওই অধ্যাপকের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যখন আমরা পুনর্মূল্যায়ন করতে দেওয়া খাতা দেখতে চাই তখন দেখি কোনও খাতাই দেখা হয়নি, তাহলে কিসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হত এটাই এখন প্রশ্ন।'
এই বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পার্থসারথী চক্রবর্তী জানান, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। গুরুতর অভিযোগ। উপাচার্য নিজে দেখছেন সবটা। উপযুক্ত পদক্ষেপ অবশ্যই হবে'।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি কিশলয় রায় জানিয়েছে, “ওই বিভাগে আজ নয়, দিনের পর দিন বহু ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এসেছে। আমি নিশ্চিত বলছি, এই বিষয়ে শিক্ষক সংগঠন জুটা চুপ তার কারণ, ওই অধ্যাপক তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সিপিএমের লোক!”
