আজকাল ওয়েবডেস্ক: তীরে এসে তরী ডুবল। সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের ক্ষেত্রে এটি ভীষণভাবে প্রযোজ্য। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটেতে হার। সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কোহলিদের কাছে হার। ১০ বছরে মুম্বইয়ের মাঠে প্রথম জয় আরসিবির। এর আগে চিপকে ১৮ বছরের ইতিহাস ভাঙে চেন্নাইকে হারায় বেঙ্গালুরু। এবার পালা ছিল মুম্বইয়ের। হারের ফলে টেবিলে আট নম্বরে নেমে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১২ রানে হারের পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন হার্দিক পাণ্ডিয়া‌। ভাইকে হতাশ দেখে সাহায্যের হাত বাড়ান ক্রুনাল পাণ্ডিয়া। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীর আগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পাণ্ডিয়া ব্রাদার্স। তারপর মাঠে দাঁড়িয়ে দু'জনকে কথা বলতে দেখা যায়। ম্যাচ শেষে ক্রুনাল বলেন, 'আমরা জানতাম যেকোনও একজন পাণ্ডিয়া জিতবে। কিন্তু একে অপরের প্রতি ভালবাসা এবং স্নেহ খুবই স্বাভাবিক। ও ভাল ব্যাট করেছে। আমরা দু'জনই জিততে চেয়েছিলাম। আমি ওর যন্ত্রণা বুঝি।' 

মুম্বইয়ের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন ক্রুনাল। শেষ ওভারে পুরোনো দলকে ১৯ রান নিতে দেননি। প্রথম দুই বলে মিচেল স্যান্টনার এবং দীপক চাহারকে ফেরান। বাকি বলেও রান তোলার জায়গা দেননি। ওভারের শুরুতে হার্দিককে হাসতে দেখা যায়। কিন্তু ম্যাচ বেঙ্গালুরুর দিকে ঘুরতেই গম্ভীর হয়ে যান। তবে দুই পাণ্ডিয়া ভাই সফল হয়। ১৫ বলে ৪২ করেন হার্দিক। জোড়া উইকেটও তুলে নেন। চার উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন ক্রুনাল। শেষ হাসি হাসেন তিনিই।