আজকাল ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীতে বহু রকমের রোগ রয়েছে। সেখানে কিছু রোগ হল সংক্রামক আবার কিছু রোগ হল বংশজনিত। তবে এর মধ্যে কিছু রোগ রয়েছে যেগুলি অন্য প্রাণীর দেহ থেকে সরাসরি আমাদের দেহে চলে আসে। যেভাবে মানুষ বিভিন্ন প্রাণীকে ভক্ষণ করে থাকে সেদিক থেকে দেখতে হলে অন্য প্রাণীর রোগ অতি সহজেই আমাদের দেহে চলে আসতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণকে জুনোটিক রোগ বলে। এই সংক্রমণগুলি জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট হয়। জুনোটিক রোগের উদাহরণ হল জলাতঙ্ক, ইবোলা, সালমোনেলোসিস, ব্রুসেলা এবং এইচআইভি।
জুনোটিক রোগ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী, ছত্রাক ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্ট হয়। জুনোটিক রোগ সরাসরি যোগাযোগ, খাদ্য, জল, পরিবেশের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। জুনোটিক রোগের মধ্যে কিছু গুরুতর এবং প্রাণঘাতী, আবার কিছু হালকা এবং নিজে থেকে ভালো হয়ে যায়। মানুষ থেকে অমানবিক প্রাণীতেও জুনোটিক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই যারা এর থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে চান তারা অতি দ্রুত নিজেদের সাবধান করে নিতে পারেন।
জুনোটিক রোগ যেকোনও মানুষের হতে পারে। যদি কেউ মনে করে থাকেন তার দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি রয়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। যে ধরণের প্রাণী আপনি নিজের খাবারের মধ্যে গ্রহণ করছেন সেখান থেকে অতি দ্রুত আপনার দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ধরণের রোগ। যদি সেই প্রাণীর দেহে রোগ থাকে তাহলে সেই রোগ অতি দ্রুত মানুষের দেহে প্রবেশ করে। সাময়িকভাবে বুঝতে না পারা গেলেও পরে দেখা যায় এই রোগের নানা ধরণের লক্ষণ।
এই ধরণের রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল খাবার তৈরির সময় সাবধান হতে হবে। খাবার তৈরির আগে সেটি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। রান্না করার আগে নিজের হাত ভাল করে ধুয়ে রাখতে হবে। যেখানে খাবার থাকবে সেটি যেন ভাল করে ধোয়া থাকে। তবে এতকিছু করার পরও যদি এই ধরণের রোগ হয় তাহলে ফেলে না রেখে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নাহলে রোগের বৃদ্ধি হলে সেখান থেকে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।
