আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে বৃহস্পতিবার প্রায় ৫,৫০,০০০ শিক্ষার্থী বিশ্বের দীর্ঘতম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এই কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। দোকানপাট বন্ধ, শব্দ কমাতে বিমান পরিষেবা দেরিতে চলবে, স্থানীয়রা রাস্তায় বেরচ্ছেন না এবং পুরো দেশ যেন থেমে গিয়েছে। সুনেউং বা কলেজ স্কলাস্টিক অ্যাবিলিটি টেস্ট (CSAT) কেবল একটি দুর্দান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যই নয়। বরং দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরির সম্ভাবনা, আয়, জীবনধারা এবং ভবিষ্যতের প্রবেশদ্বারও।

পরীক্ষায় কোরিয়ান, অঙ্ক, ইংরেজি, কোরিয়ান ইতিহাস, সামাজিক বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা থেকে একটি ঐচ্ছিক এবং দ্বিতীয় ভাষা এবং হানজা (কোরিয়ান ভাষায় ব্যবহৃত ধ্রুপদী চীনা অক্ষর) সহ বিভিন্ন বিষয় থেকে প্রায় ২০০টি প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষাটি টানা আট ঘণ্টা ধরে চলে, দৃষ্টিহীন বা স্বল্প দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের ১.৭ গুণ, যা প্রায় ১৩ ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে। একটি পরীক্ষার জন্য ১৬ পৃষ্ঠার এবং ব্রেইল লিপির জন্য এটি ১০০ পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র। এটি স্থানীয় সময় সকাল ৮:৪০ টার দিকে শুরু হয় এবং বিকেল ৫:৪০ টার দিকে শেষ হয়। দৃষ্টিহীন বা বিশেষ ভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি রাত ১১:৪৮ পর্যন্ত চলতে পারে। কোনও রাতের খাবার বা মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ছাড়াই।

দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী ডং হিউন বলেন, “পরীক্ষা এত দীর্ঘ হওয়ায় এটা সত্যিই ক্লান্তিকর।” 

২০২৫ সালে প্রায় ৫,৫৪,১৭৪ জন পড়ুয়া আবেদন করেছিলেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৩১,৫০০ জন বেশি। গত সাত বছরের মধ্যে ২০২৫ সালে আবেদনকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। ম্যারাথন পরীক্ষাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতক এবং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। দৃষ্টিহীন বা স্বল্পদৃষ্টি সম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

ডং-হিউন বলেন, “পরীক্ষায় সফল হওয়ার বিশেষ কোনও কৌশল নেই। আমি কেবল আমার পড়াশোনার সময়সূচি অনুসরণ করি এবং নিজেকে সেভাবেই পরিচালনা করার চেষ্টা করি। এটাই একমাত্র উপায়।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর কারিকুলাম অ্যান্ড ইভালুয়েশনের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে, ৯৯ জন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি কম এবং ১২ জন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি গুরুতর কম ছিল।